ফতুল্লা থানা কমিটিতে ওসমান পরিবারের তিন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা
হয়েছে। তাদের ৩ জনের স্থলে ফতুল্লার ত্যাগী ও যোগ্য নেতা-কর্মীদের মধ্য
থেকে ৩ জনকে নির্বাচন করে তাদের মূল্যায়িত করলে আরও বেশি আনন্দিত হবেন বলে
শামীম ওসমান চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।
শামীম ওসমানের স্বাক্ষরিত জাতীয় সংসদের প্যাডে পাঠানো চিঠিতে ফতুল্লা
থানা আওয়ামী লীগের কাছে তাদের নাম বাদ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, সংগ্রামী সহযোদ্ধা, রক্তিম সালাম গ্রহণ করুন। জেনে
অত্যন্ত খুশি হয়েছি আপনারা ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সদ্য অনুমোদিত
কমিটিতে আমাকে, আমার স্ত্রী সালমা ওসমান লিপি এবং জ্যেষ্ঠ সন্তান ইমতিনান
ওসমান অয়নকে কার্যকরী সদস্য হিসেবে স্থান দিয়েছেন। এজন্য আপনাদের জানাই
স্বাদর অভিবাদন ও কৃতজ্ঞতা।
কিন্তু আমি ও আমার পরিবার মনে করছি, ফতুল্লা থানা এলাকায় আমাদের চেয়েও
ত্যাগী, যোগ্য ও রাজপথের অসংখ্য সক্রিয় নেতা-কর্মী রয়েছেন। যারা বঙ্গবন্ধুর
আদর্শকে বুকে লালন করে আমাদের মাতৃতূল্য জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে
তার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য লড়াই করছেন। আমরা মনে করি, ওই ৩টি কার্যকরী
সদস্য পদে আমাদের পরিবর্তে ত্যাগী ও যোগ্য নেতা-কর্মীদের মধ্য থেকে আপনারা ৩
জনকে নির্বাচন করে তাদের মূল্যায়িত করলে আমরা আরও বেশি আনন্দিত হব।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফ উল্লাহ বাদল ও
সাধারণ সম্পাদক শওকত আলীর কাছে জানতে চাইলে চিঠিটি তাদের হস্তগত হয়েছে বলে
স্বীকার করেছেন।
ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল বলেন, ফতুল্লা
থানা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানসহ তার স্ত্রী সালমা ওসমান লিপি এব
জ্যেষ্ঠ সন্তান ইমতিনান ওসমান অয়নকে কার্যকরী সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা
হয়েছে। সেই কমিটিতে তাদের নাম বাদ দেয়ার জন্য তিনি আমাদের চিঠি দিয়েছেন।
আমরা তার চিঠি গ্রহণ করেছি। আগামী ২০ জানুয়ারি ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের
পরিচিতি সভা। আর সেই সভাতে ওই চিঠির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল (নমপার্ক )
পার্কে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে
পূণরায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হন যথাক্রমে এম সাইফ উল্লাহ বাদল এবং এম
শওকত আলী। যারা ২০০৪ সালে পঞ্চবটি বল্টুর মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতি ও
সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। সেই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী
লীগের প্রয়াত প্রেসিডিয়াম সদস্য ও প্রাক্তন পানি সম্পদ মন্ত্রী আব্দুর
রাজ্জাক।
সম্মেলনের এক বছর এক মাস ৩ দিন পর সম্প্রতি ১০ জানুয়ারি ফতুল্লা থানা
আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় নারায়ণগঞ্জ
জেলা আওয়ামী লীগ। কমিটিতে কার্যকরী সদস্য হিসেব শামীম ওসমান, সালমা ওসমান
লিপি ও ইমতিনান ওসমান অয়নকে রাখা হয়