বার্সাকে ফাইনালে তুললেন টের স্টেগেন
Published : Thursday, 14 January, 2021 at 1:06 PM
hকর্দোবার
সেমিফাইনালের নির্ধারিত ৯০ মিনিটে স্কোরলাইন ছিল ১-১। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও
বদলায়নি স্কোরলাইন। ফল নিষ্পত্তির জন্য গড়ানো টাইব্রেকার ৩-২ গোলে জিতে
ফাইনালে নাম লেখায় বার্সেলোনা। রবিবার তারা শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে
মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ-আথলেতিক বিলবাওয়ের অন্য সেমিফাইনাল জয়ীর
বিপক্ষে।
সবশেষ
লিগ ম্যাচ গ্রানাদার বিপক্ষে অস্বস্তিবোধ করায় মাঠ থেকে উঠে গিয়েছিলেন
মেসি। সেটি কাটিয়ে উঠতে না পারায় সোসিয়েদাদের বিপক্ষে সেমিফাইনালে তাকে
বাইরে রেখে স্কোয়াড সাজান কোচ রোনাল্ড কোম্যান। মেসির ছোঁয়ায় চেনারূপে ফেরা
বার্সেলোনা সেরা খেলোয়াড়কে ছাড়া ভীষণ ভুগেছে। সোসিয়েদাদের প্রতিআক্রমণে
প্রায়ই দিতে হয়েছে কঠিন পরীক্ষা।তবে
লা রিয়ালের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে টের স্টেগেনের দুর্দান্ত
পারফরম্যান্সে। বুধবার জার্মান গোলকিপার অসাধারণ এক রাত পার করেছেন। ম্যাচে
দারুণ সব সেভের পর টাইব্রেকারে নায়ক বনে গেছেন বার্সাকে স্প্যানিশ সুপার
কাপের ফাইনালে তুলে।টাইব্রেকারে সোসিয়েদাদের
নেওয়া দুই শটই ঠেকিয়ে দেন টের স্টেগেন। বার্সার হয়ে প্রথম শট নিতে আসা
ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংও মিস করেছেন, মূল ম্যাচে গোল করা এই মিডফিল্ডার মারের
পোস্টে। দ্বিতীয় শট নেওয়া উসমান ডেম্বেলে অবশ্য বল জালে জড়িয়ে এগিয়ে নেন
বার্সেলোনাকে। সোসিয়েদাদের তৃতীয় শট নেওয়া উইলিয়াম হোসে আবার মারের পোস্টে।
টানা তিন শটে গোল করতে না পারা সোসিয়েদাদ আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ে বার্সার
মিরালেম পিয়ানিচ লক্ষ্যভেদ করলে। কিন্তু চতুর্থ শটে মিকেল মেরিনোর শট জালে
জড়ানোর পর আতোঁয়া গ্রিজমান বারের ওপর দিয়ে বল মারলে জমে যায় টাইব্রেকার।
যদিও পঞ্চম শটে রিকি পুচ বল জালে জড়ালে ফাইনালে ওঠার আনন্দে মাতে
বার্সেলোনা। এর আগে মেসিবিহীন বার্সেলোনা
নির্ধারিত সময়ের খেলায় এগিয়ে গিয়েছিল। ফর্মের তুঙ্গে থাকা ডি ইয়ং তার
ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন। ডাচ মিডফিল্ডারের গোলেই ৩৯ মিনিটে এগিয়ে যায়
কাতালানরা। গ্রিজমানের ক্রসে লাফিয়ে ওঠে হেড করে বল জালে জড়ান ডি ইয়ং।গোলশোধে
মরিয়া সোসিয়েদাদ চালাতে থাকে একের পর আক্রমণ। তেমনই এক আক্রমণে পেনাল্টি
পেয়ে যায় তারা। বার্সাকে এগিয়ে নেওয়া ডি ইয়ং নিজেদের বক্সের ভেতর হ্যান্ডবল
করলে রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। ঠান্ডা মাথায় স্পট কিক থেকে লক্ষ্যভেদ
করে ৫১ মিনিটে লা রিয়ালকে সমতায় ফেরান মিকেল ওয়ারজাবাল।এরপর
দুই দলই তৈরি করেছে অনেক সুযোগ। কিন্তু বার্সার অ্যাটাকিং থার্ডে আটকে
যাওয়া এবং সোসিয়েদাদের ভাগ্য সঙ্গী না হওয়ায় স্কোরলাইন বাড়েনি। ওয়ান টু
ওয়ানডে টের স্টেগেন দুইবার হতাশ করেছেন জন বাতিস্তা ও ওয়ারজাবালকে। উইলিয়াম
হোসে আবার মেরেছেন পোস্টে। তবে সোসিয়েদাদ সবচেয়ে বেশি হতাশ হয়েছে অতিরিক্ত
সময়ের শেষ দিকে আদনান ইয়ানুজাইয়ের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হলে।