কুমিল্লায় চার দফা দাবি আদায়ে সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিকেলের শিক্ষার্থীদের অবরোধে দেশের লাইফ লাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রায় একঘন্টা থমকে দাঁড়িয়েছিল। এতে মহাসড়কের দুইপাশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। আটকা পড়ে যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী হাজার হাজার পরিবহন। যাত্রী ও রোগিদের মধ্যে সৃষ্টি হয় দুর্ভোগ।
করোনাকালিন সময়ে দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ পর্বের তাত্ত্বিক পরীক্ষাগুলোকে অটোপাস এবং প্রথম তৃতীয়, পঞ্চম ও সপ্তম পর্বের ক্লাসে শর্ট সিলেবাসে পরীক্ষা নেয়াসহ চার দফা দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে একঘন্টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানা ও কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তার ঘটনা¯’লে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে পরি¯ি’তি নিয়স্ত্রণে আনেন। এরপর প্রায় একঘন্টা অবরোধের পর মহাসড়ক স্বাভাবিক অব¯’ায় ফিরে আসে।
মহাসড়ক অবরোধে বিক্ষোভে অংশ নেন কুমিল্লার সরকারি পলিটেকনিকেল ইনস্টিটিউট, সিসিএন বেসরকারি পলিটেকনিকেল ও সিপিপিআই পলিটেকনিকেলের শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা সরকারি পলিটেকনিকেল ইনস্টিটিউটের ষষ্ঠ পর্বের শিক্ষার্থী ইসমাইল মজুমদার, সাব্বির আহমেদ, মাসুম বিল্লাহ, ইমতিয়াজ, কাজী মেহরাজ, রিয়াজ মজুমদার, স্বর্ণালী সুমি, সিসিএন বেসরকারি পলিটেকনিকেলের শিক্ষার্থী নাইম, সম্পদ, ফাহাদ এবং সিপিপিআই পলিটেকনিকেলের শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেন।
আন্দোলনকৃত শিক্ষার্থীরা জানান, ¯’গিত দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ পর্বের তাত্ত্বিক পরীক্ষাগুলোকে অটোপাস এবং প্রথম তৃতীয়, পঞ্চম ও সপ্তম পর্বের ক্লাসে শর্ট সিলেবাসে পরীক্ষা নিতে হবে, এক মাসের লস মানি না, অতিরিক্ত ফি প্রত্যাহার ও প্রাইভেট পলিটেকনিকেল সেমিস্টার ফি মওকুফ করতে হবে এবং সকল প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয় ডিপ্লোমা ছাত্রদের জন্য আসন বরাদ্ধ করতে হবে। আর এই চার দফা দাবি মেনে নেয়া পর্যন্ত আমাদের দাবি অব্যাহত থাকবে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার সার্কেল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত পাল বলেন, হঠাৎ করে শিক্ষার্থীদের অবরোধে থমকে দাঁড়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। ঘন্টাব্যাপি অবরোধে যানজট সৃষ্টি হয় মহাসড়কের দুইপাশে। পরবর্তীতে আমরা পলিটেকনিকেলগুলোর শিক্ষকদের সাথে আলাপ করে তাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ^াসে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।