কুমিল্লা লাকসামে প্রবাসী স্ত্রী তামান্না বেগম ও তার দুই সন্তান নিয়ে সতদল শিশু নিকেতন স্কুলের সহকারী শিক্ষক বিল্লাল হোসেন কে নিয়ে ৪দিন ধরে উধাও রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মুদাফরগঞ্জ (দঃ) ইউনিয়ন লক্ষিপুর গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, উপজেলার মুদাফরগঞ্জ (দঃ) ইউনিয়নে চিতোষী বাজারে সতদল শিশু নিকেতন স্কুলের শিক্ষার্থী লক্ষিপুর গ্রামে চেয়ারম্যান বাড়ীর প্রবাসী মিলনের দুই সন্তান। প্রতিষ্ঠানে দুই সন্তান নিয়ে আসা যাওয়া করতেন প্রবাসী স্ত্রী তামান্না বেগম। আসা যাওয়ার মাঝে স্কুলের সহকারী শিক্ষক বিল্লালের প্রেমের জড়িয়ে পড়েন স্ত্রী তামান্না। শিক্ষক বিল্লাল হোসেন একই ইউনিয়নে জনদ্দপুর গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে। গত (১০ জানুয়ারি) রবিবার প্রবাসী স্ত্রী তামান্না বেগম তার স্বামী আলিশান বাড়িঘর ও কোটি টাকা সম্পত্তি রেখে তার দুই সন্তান নিয়ে শিক্ষক বিল্লাল হোসেন সাথে উধাও হয়। তাদের খোঁজ খবর না পেয়ে তাদের স্বজদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে । উধাও থাকার খবরে এলাকায় সর্ব মহলে গুনজন শুরু হয়েছে।বিষয়টি জানাযানি হওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষক বিল্লাল হোসেন ও প্রবাসী স্ত্রী তামান্না বেগমের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছেন বলে তাদের স্বজনরা জানান। এ বিষয়ে শিক্ষককে বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তড়িঘড়ি করছেন স্কুলের কর্তৃপক্ষ এবং তাদের ঘটনা ধামা চাপা দিতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে স্থানীয় কয়েকজন। গনমাধ্যম কর্মী পরিচয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে-ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অভিযুক্ত বিল্লালের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার ভাই গত চারদিন ধরে নিখোঁজ ও তার মোবাইল ফোনটি রয়েছে।
ভুক্তভোগী প্রবাসী মিলনের কাকা মোতাহের হোসেন বলেন, মিলন প্রবাসে জাওয়ার পর তার বাড়িতে থাকতেন স্ত্রী ও দুই সন্তান। তার মা ঢাকায় বোনের বাসায় থাকেন। এলাকায় শুনেছি গত কয়েকদিন আগে নাকি বিল্লালের সাথে তার স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে উধাও হয়েছে।
এ বিষয় বৃহস্পতিবার সকালে মুদাফরগঞ্জ (দঃ) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল রশিদ সওদাগর তিনি বলেন, প্রবাসী মিলনের স্ত্রী ও দুই সন্তান ছেলে মেয়ে নিয়ে স্কুলের শিক্ষকের সাথে উধাও হয়েছে এমন একটি ঘটনা শুনেছি, তবে স্ত্রী তামান্না বেগম ডিভোর্স পেপার এসেছে এটাও শুনেছি এখনও আমার হাতে আসেনি।