ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
বিদেশে কার কার বিলাসী ফ্ল্যাট-বাড়ি, তালাশ করছে দুদক
Published : Friday, 15 January, 2021 at 12:00 AM
কানাডা, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ও বাড়ির মালিক বাংলাদেশিদের তালিকা চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
উচ্চ আদালত নির্দেশনা দেওয়ার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সচিবের কাছে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার দুদক সচিব মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদার জানিয়েছেন।
গত ১১ জানুয়ারি দুদক মহাপরিচালক (মানি লন্ডারিং) আ ন ম আল ফিরোজের স্বাক্ষরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাসুদ বিন মোমেনের কাছে চিঠিটি পাঠানো হয়।
চিঠি পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক সচিব আনোয়ার বলেন, “কানাডা, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে যারা অবৈধ সম্পদের মাধ্যমে বাড়ি-ঘর করেছে বলে জানা গেছে, তাদের ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
“তারা তাদের স্ব স্ব এজেন্সির মাধ্যমে জেনে আমাদেরকে অবহিত করবেন। এই জন্য তাদেরকে (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) চিঠি দেওয়া হয়েছে।”
দ্রুততম সময়ের মধ্যে তথ্যগুলো দুদককে সরবরাহ করতে মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ১৮ নভেম্বর ডিআরইউর মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশ থেকে কানাডায় টাকা পাচারের সত্যতা পাওয়ার কথা জানান।
প্রাথমিকভাবে অর্থপাচারে জড়িত যাদের তথ্য পাওয়া গেছে তার মধ্যে সরকারি কর্মচারীই বেশি বলে জানান তিনি। এছাড়া রাজনীতিক এবং ব্যবসায়ী থাকার কথাও তিনি বলেন। তবে কারও নাম তিনি প্রকাশ করেননি।
সে বক্তব্যের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন নজরে আসার পর গত ২২ নভেম্বর হাই কোর্ট অর্থ পাচারকারী, দুর্বৃত্তদের নাম-ঠিকানার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না, তা জানতে চায়।
সেই রুলের শুনানিতে দুদকের জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে হাই কোর্ট বিদেশে অর্থপাচারকারীরা কে কোথায়, কীভাবে আছে, তা জানাতে দুদককে নির্দেশ দেয়।
এর আগে বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার করে সম্পদ বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব গ্রহণকারী বাংলাদেশিদের তালিকা চেয়ে গত নভেম্বরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল দুদক।
‘সেকেন্ড হোম’ প্রকল্পের আওতায় বিদেশে বিনিয়োগ কিংবা বহুল আলোচিত পানামা পেপার্স ও প্যারাডাইস পেপার্সে যেসব বাংলাদেশিদের নাম উঠে এসেছে, তাদের বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছিল ওই চিঠিতে।
তবে তার কোনো অগ্রগতি আর জানা যায়নি।