চান্দিনা পৌর নির্বাচন: পাল্টা-পাল্টি মামলায় আসামি ১৩৬ নেতা-কর্মী
Published : Friday, 15 January, 2021 at 12:00 AM
রণবীর ঘোষ কিংকর: চান্দিনা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রধান বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে অবস্থান নিয়েছেন একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী। নির্বাচনী মাঠে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে চলা সংঘর্ষে চান্দিনা থানায় পৃথক দুইটি মামলা ১৩৬ নেতা-কর্মীকে আসামী করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারী) রাত ১২টায় প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত দেশের অন্যতম বিরোধীদল বিএনপি প্রার্থীর নেতা-কর্মীদের সাথে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর নেতা-কর্মীদের কোন সংঘাত না হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতা-কর্মীদের সাথে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শেষ মুহুর্তের প্রচারণা পর্যন্ত মাঠ দখলে নেওয়ার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠে ওই দুই প্রার্থী।
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা পর থেকে একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী মাঠে চষে বেড়ানোর পর ৪ দলীয় প্রার্থীর সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন আরও ৪জন। যাচাই-বাছাইয়ে একজনের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর বৈধ ৭ প্রার্থীর মধ্যে ৩জনই স্বতন্ত্র। ২৯ ডিসেম্বর ২ স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে থাকেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শামীম হোসেন।
প্রতীক বরাদ্দের পর জগ প্রতীক নিয়ে মাঠ নির্বাচনী প্রচারণায় নামেন তিনি। প্রচারণার দিন যতই বাড়ে নির্বাচনী মাঠে স্বতন্ত্র প্রার্থীর উত্তাপ ততই বাড়তে থাকে।
আওয়ামীলীগের দলীয় কোন্দল থাকায় এবং নির্বাচনী মাঠে বিএনপি’র উত্তাপ না থাকায় প্রচারণার সুযোগ নেয় স্বতন্ত্র প্রার্থী। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিত্তবান স্বতন্ত্র প্রার্থী বাগিয়ে নেয় গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এদিকে, আওয়ামীলীগও বিএনপিকে বাদ দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীকেই অধিকগুরত্ব দিয়ে মোকাবেলা করতে দেখা গেছে। যারফলে দুই প্রার্থীর সমর্থক ও নেতা-কর্মীদের মধ্যে শুরু হয় নানা সংঘাত। দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারিসহ আওয়ামীলীগ প্রার্থীর প্রচারণার রিক্সায় আগুন দেওয়ারসহ নানা ঘটনা থাকলেও পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৩জন আহতের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। ওই দুই মামলায় ৪১ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা ৯৫জনকে আসামী করা হয়।
চান্দিনা থানা সূত্রে জানা যায়- গত ১২ জানুয়ারী আওয়ামীলীগ সমর্থিত ছায়কোট গ্রামের আলী আশরাফ এর দায়ের করা মামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন এর আপন মামা সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল মান্নান সরকারসহ ২৪ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ ও ৩৫ অজ্ঞাত আসামী করে মামলাম করেন।
তার একদিন পর ১৩ জানুয়ারী স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম সমর্থিত হারং গ্রামের মাসুদ রানা’র দায়ের করা মামলায় আওয়ামীলীগ সমর্থিত ১৭ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ ৬০ অজ্ঞাতনামা আসামী করে পাল্টা মামলা দায়ের করেন।
তবে দুই মামলায় কোন আসামীকেই গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
মামলার বিষয়টি স্বীকার করে চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামসউদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান- ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।