ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
মতলব আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি
Published : Monday, 18 January, 2021 at 12:00 AM
মানিক দাস, চাঁদপুর ॥ রোটা ডায়রিয়ার প্রকোপ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তন অর্থাৎ শীতের আবির্ভাবের সাথে সাথে রোটা ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাঁদপুরের মতলব আইসিডিডিআর,বি হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ২শ থেকে ২শ ৫০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী এ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা-সেবা নিতে দেখা যায়। গত বছরের তুলনায় এ বছর ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি।
চাঁদপুরের মতলব আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালের দেয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসের শুরু থেকে শীতের মৌসুম শুরু হওয়ায় রোটা ডায়রীয়ার প্রাদুভাব দেখা দিয়েছে।  প্রতিদিন গড়ে ২শ থেকে ২শ ৫০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। ভর্তিকৃত রোগীদের মধ্যে শূন্য থেকে ৫ বছর বয়সী রুগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।  গড়ে প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে হওয়া ২শ ৫০ জন। গতকাল ১৭ জানুয়ারী রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের কক্ষ গুলোতে ডায়রিয়া রোগীতে ঠাসা। স্থান সংকুলান না হওয়ায় বারান্দায় বেড বিছিয়ে রোগীদের চিকিৎসা-সেবা দেওয়া হচ্ছে।
আইসিডিডিআরবির সিনিয়র মেডিসিন অফিসার ডা. চন্দ্র শেখর দাস জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি শীতকালীন ডায়রিয়া। ভাইরাসজনিত কারণে, দুষিত খাবার ও দুষিত পানিপান করা, ময়লা মুখে দেওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় শিশুরা ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তবে এসব রোগীদের নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সাথে সাথে সুস্থ্য করে তুলতে চিকিৎসকরা তাঁদের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকেন। প্রতিদিন ডাক্তার,সিনিয়র নার্স ও স্বাস্থ্য সহকারীরা ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা-সেবায় নিয়োজিত থাকেন। ভর্তি হওয়া রোগীদের সুস্থ্য হয়ে ওঠতে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ৭ দিন সময় লাগে। শুন্য থেকে ছয় মাস বয়সী শিশুদের পরিমান মতো খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো, ৭ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের পরিমান মতো খাবার স্যালাইন, একটি করে বেবিজিংক ট্যাবলেট এবং বাড়তি খাবারের মধ্যে সুজি, খিচুরি, ডাবের পানি, চিড়াসহ তরল খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে চাঁদপুর জেলা সদর, ফরিদগঞ্জ, হাইমচর, হাজীগঞ্জ, কচুয়া, শাহরাস্তি, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর, কুমিল্লা জেলার বরুড়া, ব্রাহ্মবাড়িয়া, বুড়িচং, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা সদর, কুমিল্লা সদর উত্তর, দাউদকান্দি, শরীয়তপুর জেলার বেদেরগঞ্জ, নারিয়া, দেবিদ্বার, হোমনা, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, মুরাদনগর, নাঙ্গলকোট, তিতাশ উপজেলা, কক্স বাজার সদর, ফেনী, কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্ডিয়া, লক্ষীপুর জেলা সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি উপজেলা, মুন্সীগঞ্জ জেলা সদর, নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ, চাটখিল, সোনাইমুড়ি ও সখিপুর উপজেলা থেকে আসা রোগীরা চিকিৎসা-সেবা নিচ্ছে।