মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে
শনিবার সারাদেশে ৬৬ হাজার ১৮৯টি গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেওয়া হয়েছে। তারই একটি
ঘর পেয়েছেন সংসদ সদস্য এনামুল হক জজ মিয়া।
সকালে গফরগাঁও উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এই সংসদ সদস্য ছাড়া উপজেলার আরও ১৯৯ জনকে ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়।এনামুল হক জজ মিয়াকে জমির দলিলসহ ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল।
মেয়র ইকবাল হোসেন সুমন বলেন, “এনামুল হক জজ মিয়া ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে জাতীয়
পার্টির হয়ে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একসময় তার গফরগাঁও পৌরশহর ও
ঢাকায় বিলাসবহুল বাড়ি ছিল। কিন্তু সর্বশেষ পৌরশহরে ১২ শতাংশ জমি মসজিদের
নামে লিখে দিয়ে এক রুমের ভাড়া বাসায় থাকছেন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে। খাট কেনার
সামর্থ্য না থাকায় মেঝেতেই ঘুমান তিনি।”মেয়র বলেন, “প্রথম স্ত্রী
মেয়েকে নিয়ে আমেরিকায় থাকেন। দ্বিতীয় স্ত্রী ঢাকার পুরানা পল্টন ও মিরপুর
কাজীপাড়ায় দুই সন্তান নিয়ে দুটি বাড়িতে থাকেন। সহায়-সম্পদ যা ছিল সবই এই
দুই স্ত্রী ও সন্তানদের নামে লিখে দিয়েছেন এনামুল হক।“বর্তমানে তিনি তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে পৌরশহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডে ভাড়া বাসায় আট বছরের সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।”এনামুল হক সম্পর্কে আরও জানিয়েছেন গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাজুল ইসলাম।তিনি বলেন, সাবেক এই সংসদ সদস্য করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে কষ্টে দিনযাপন করছেন বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারেন তিনি।
“পরে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে আলোচনা হলে তাক্ষণিকভাবে মেয়রের মাধ্যমে
তাকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয় এবং একটা ঘরের জন্য আবেদন করতে বলা হয়। আবেদন
করলে তার নাম তালিকায় তোলা হয়। সংসদ সদস্য বলেছেন, ‘তাকে আপাতত একটি ঘর
দেন। পরে আমরা তার জন্য একটি ভাল ঘরের ব্যবস্থা করব’।”ময়মনসিংহে গৃহহীনদের এক হাজার ৩০৫টি ঘর দেওয়া হয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিসি মিজানুর রহমান।তিনি
বলেন, এ জেলায় মোট চার হাজার ৭০৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের তালিকা করা
হয়েছে। এর মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ১৩টি উপজেলায় ১৪৪টি
স্পটে এক হাজার ৩০৫টি ঘর দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে প্রকল্পের
আওতায় আনা হবে।