সাবেক সচিব এনআই খানের বিদেশ যাত্রায় বাধা নেই
Published : Monday, 25 January, 2021 at 12:00 AM
সাবেক
সচিব ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের
চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম খানকে (এনআই খান) বিদেশ না যাওয়ার ওপর
হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের
চেম্বারজজ আদালত। ফলে, তার বিদেশ যাত্রায় আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন
আইনজীবীরা।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে নজরুল ইসলাম খানের করা আবেদনের
শুনানি নিয়ে রোববার (২৪ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের
চেম্বারজজ আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে ছিলেন
ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি
জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান।
পিপলস
লিজিংয়ের পাঁচ আমানতকারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জানুয়ারি প্রশান্ত
কুমার হালদারের (পি কে হালদার) মা লীলাবতী হালদারসহ ২৫ জনের বিদেশ যাওয়ার
ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। ওই ২৪ জনের মধ্যে এনআই খানও ছিলেন। ওই আদেশ
স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন এনআই খান।
ওইদিন দুদকের আইনজীবী
খুরশীদ আলম খান জানিয়েছিলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড
ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসে জমা রাখা টাকা ফেরত পেতে হাইকোর্টে লিখিত বক্তব্য
দিয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতির পরিবার, সাবেক রাষ্ট্রদূত, ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কর্মকর্তাসহ পাঁচজন। তারা তাদের বক্তব্যে বলেছেন, এ
২৫ জন ব্যক্তিকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে পি কে হালদার বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত
পাওয়া যেতে পারে। তারা যেন বিদেশ যেতে না পারেন, এ জন্য তারা হাইকোর্টের
নির্দেশনা চান।
তিনি আরও জানান, আদালত বলেছেন দুদক প্রয়োজনে তাদের
জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। আর আদালতের অনুমতি ছাড়া এ ২৫ জন বিদেশে যেতে পারবেন
না বলে আদেশ দিয়েছেন।
পাঁচ আবেদনকারী হলেন- সাবেক প্রধান বিচারপতি
মোস্তফা কামালের মেয়ে ড. নাশিদ কামাল, সাবেক রাষ্ট্রদূত রাজিউল হাসান,
সামিয়া বিনতে মাহবুব, খালেদ মনসুর ট্রাস্টের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম এবং
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক বীর
মুক্তিযোদ্ধা শওকতুর রহমান।
গত বছরের ১৮ নভেম্বর দৈনিকে ‘পি কে হালদারকে
ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে
গত ১৯ নভেম্বর তাকে বিদেশ থেকে ফেরাতে এবং গ্রেফতার করতে কী পদক্ষেপ নেয়া
হয়েছে তা জানতে চেয়ে সপ্রণোদিত আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
৩ জানুয়ারি এ
স্বপ্রণোদিত মামলার শুনানিতে দুদক আইনজীবী আদালতের কাছে এসব আমানতকারীর কথা
তুলে ধরেন এবং তারা আদালতের সামনে কথা বলার অনুমতি চান।
এরপর তারা
আদালতের অনুমতি নিয়ে তাদের আমানত ফিরে পেতে আকুতি জানান। ওইদিন আদালত তাদের
বক্তব্য লিখিত আকারে দিতে বলেন। সে অনুসারে গত ৫ জানুয়ারি তারা লিখিত
বক্তব্য জমা দেন এবং ২৫ জনের তালিকা দেন।