ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
 অটোপাসে কুমিল্লা বোর্ডে জিপিএ-৫ বেড়ে ৭ গুণ
Published : Sunday, 31 January, 2021 at 12:00 AM, Update: 31.01.2021 1:33:01 AM
 অটোপাসে কুমিল্লা বোর্ডে জিপিএ-৫ বেড়ে ৭ গুণ মাসুদ আলম।।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে এবছর এইচএসসি পরীায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৩৬৪ জন শিার্থী। এর মধ্যে ৫ হাজার ৩৮৬ জন ছাত্রী এবং ৩ হাজার ৯৭৮ জন ছাত্র। ২০১৯ সালের পরীায় এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ হাজার ৩৭৫ জন। ২০১৮ সালে ৯৪৫ জন। ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় এবার ৭ গুণ (৬ হাজার ৯৮৯) বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) ফলাফল ঘোষণার পর কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিা বোর্ডের পরীা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীা বাতিল করা হয়। এসব শিার্থীর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও এসএসসির ফলের গড় অনুযায়ী এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে ৬টি জেলার ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠানের শিার্থীরাই শতভাগ পাস করেছে। ২০১৯ সালে এ শিা বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৭.৭৪। এর আগে ২০০৮ সালে পাশের শতকরা পাসের হার ছিল ৭৭.৩৩ শতাশ।
তিনি আরও জানান, এবার কুমিল্লা বোর্ডে মোট পরীার্থী ছিলো ১ লাখ ২ হাজার ৪৩৫ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ৫৮ হাজার ১৭ জন এবং ছাত্র ৪৪ হাজার ৪১৭ জন। গত বছরের পরীায় কুমিল্লা বোর্ডে থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীায় অংশ নেন ৯৪ হাজার ৩৬০ জন পরীার্থী। এর মধ্যে পাশ করে ৭৩ হাজার ৩৫৮ জন।
এদিকে কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চম্যাধমিক শিক্ষাবোর্ডের অধীনে থাকা ৬টি জেলার ৩৯৫টি উচ্চম্যাধমিক প্রতিষ্ঠানের শিার্থীরাই শতভাগ পাস করেছে। এবার কুমিল্লা বোর্ডে মোট এইচএসসি পরীার্থী ছিলো ১ লাখ ২ হাজার ৪৩৫ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ৫৮ হাজার ১৭ জন এবং ছাত্র ৪৪ হাজার ৪১৭ জন। গত বছরের পরীায় কুমিল্লা বোর্ডে থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীায় অংশ নেন ৯৪ হাজার ৩৬০ জন পরীার্থী। এর মধ্যে পাশ করে ৭৩ হাজার ৩৫৮ জন।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে এবার পরীা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের পরীার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার নয়টি সাধারণ শিা বোর্ড, কারিগরি ও মাদরাসা বোর্ডের প্রকাশিত ফল অনুযায়ী এইচএসসিতে সবাই পাস করেছেন। গত এইচএসসি ও সমমানের পরীায় গড় পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
পরীা শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে। কিন্তু করোনার প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব শিাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে অটোপাসের ঘোষণা দেয় সরকার।