Published : Sunday, 31 January, 2021 at 12:00 AM, Update: 31.01.2021 1:32:36 AM
তানভীর দিপু: করোনাভীতি উপেক্ষা করে বিপিএল ফুটবলে কুমিল্লা স্টেডিয়ামে দর্শকের যে ঢল তা ফুটবলের হারানো ঐতিহ্য উদ্ধারে সবুজ সংকেত। লাল সাদা গ্যালারিতে টিকেট কেটে দর্শকের ঠাসাঠাসি উপস্থিতি আর কড়তালির আওয়াজ শুধু বাফুফে প্রধান কাজী সালাউদ্দিনের মন কাড়েনি, সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়ে বাংলাদেশে ফুটবল প্রশিক্ষণ দিতে আসা বিদেশী কোচদের মনেও ঠাঁই করে নিয়েছে কুমিল্লা। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সদস্য কিংবা জাপানি মিডফিল্ডার সবাই বলছে- শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামের সবুজ ঘাস আর গ্যালারি ঘেঁষা ধর্মসাগরের ¯িœগ্ধ দৃশ্য মুগ্ধ করছে সবাইকে। বসুন্ধরা-ব্রাদার্স ইউনিয়নের খেলা দেখতে কুমিল্লা ষ্টেডিয়ামে চলে আসে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। মাঠ ঘুরে এবং সব ব্যবস্থাপনা দেখে সন্তুষ্ট হয়ে তিনি কথা দিয়ে যান, ‘কুমিল্লায় আন্তার্জাতিক ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে’।
কুমিল্লা স্টেডিয়ামে ২১ জানুয়ারি প্রথম খেলা দেখতেই এসেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সহকারী কোচ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস। ভিআইপি বক্সে বসে দেখছিলেন মোহামেডান আর সাইফ স্পোর্টিংয়ের। এর মাঝেই সাক্ষাতকারে স্টুয়ার্ট বললেন, ‘কুমিল্লা ফুটবলের জন্য উপযোগী দারুন স্টেডিয়াম। গ্যালারি ভরা দর্শক থাকলে এই মাঠ ফুটবলের জন্য সুন্দর পরিবেশ।’
দেশের প্রাচীণ ফুটবল কাব মোহামেডান স্পোর্টিং তো এই ষ্টেডিয়ামকে নিজের করেই নিয়েছে। তৃতীয় ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দী আবাহনীর সাথে পয়েন্ট ভাগাভাগি করার আগে ‘ঘরের মাঠ’ নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন মোহামেডানের অষ্ট্রেলিয়ান কোচ শন লেন। এক কথায় কুমিল্লা ষ্টেডিয়ামকে ‘ফুটবলের জন্য জাতীয় ষ্টেডিয়ামের চেয়ে ভালো’ বলেই মন্তব্য করলেন শন। মাঠ এবং গ্যালারি সবকিছুতেই সন্তুষ্ট বিদেশের কাব ফুটবলের সাবেক এই স্ট্রাইকার। শন লেন মোহামেডানের আগে ইংল্যান্ড এবং অষ্ট্রেলিয়ার ১১টি টিমের সাথে জড়িত ছিলেন।
ঢাকা ডার্বি খেলতে কুমিল্লায় আসে আবাহনী। পর্তুগীজ কোচ ম্যারিও ল্যামোস শীষ্যদের নিয়ে খেলার আগের দিন অনুশীলনে নামে ম্যাচের আগের দিন। কুমিল্লা ষ্টেয়ামের এপাশ ওপাশ ঘুরে ম্যারিও সাংবাদিকদের জানান, ‘মাঠ খুব ভালো। গ্যালারিও ভালো। ম্যাচগুলোতে যে পরিমান দর্শক হচ্ছে তা অন্য জায়গায় দেখা যায় নি।’ ম্যারিও আবাহনীর আগে পর্তুগাল ও নাইজেরিয়ার একাধিক কাবের সাথে যুক্ত ছিলেন, খেলোয়াড়ি জীবনে তিনিও ছিলেন এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
গত বৃহস্পতিবার আবাহনী মোহামেডান ম্যাচে গ্যালারি ভরা দর্শক প্রমান করেছে ফুটবল পাগল মনোভাব ছাড়েনি কুমিল্লাবাসী।