ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
সরস্বতি পুজায় সকাল থেকে মন্ডপগুলোতে ভক্তদের ভিড়
মানিক দাস
Published : Tuesday, 16 February, 2021 at 7:03 PM
সরস্বতি পুজায় সকাল থেকে মন্ডপগুলোতে ভক্তদের ভিড়হিন্দু সম্প্রদায়ের বিদ্যার্চনায় সরস্বতি পূজার ১৬ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল থেকেই মন্দিরগুলোতে ভক্তদের ভিড় ছিল লক্ষনীয়। সকাল হতে না হতেই হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ তরুণ-তরুণী সহ সব বয়সী ভক্ত মন্দিরগুলোতে অঞ্জলী গ্রহণের জন্য ভিড় জমাতে থাকে। নারীরা সকালে স্নান শেষে পুজার আয়োজনে ব্যস্ত সময় পর করতে দেখা যায়। চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি মন্দির, গোপালজিউর আখড়া, রামকৃষ্ণ আশ্রম, গুহ বাড়ি, গুয়াখোলা কুন্ডের বাড়ি, পুরাণবাজার হরিসভা মন্দির, দাসপাড়া, নিতাইগঞ্জ, বারোয়ারি মন্দির সহ সকল মন্দিরেই ভক্তরা ভিড় জমাতে থাকে। সকাল ৯টা থেকে অধিকাংশ মন্দিরে পুজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়। সকাল ১০টায় মন্দিরগুলোতে পুজা শেষে অঞ্জলী প্রদান কা হয়। আর এই অঞ্জলী গ্রহণেল জন্যই ভক্তরা ভিড় জমাতে থাকে। দেবী সরস্বতী চরণে মাথা খুটে বিদ্যা অর্চনায় প্রার্থনায় ব্রত হয়।
বিকেলের পর থেকে চাঁদপুুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা আশপাশের ইউনিয়নগুলো থেকে ভক্তরা সরস্বতী পুজা উপভোগ করতে আসতে শুরু করে। গভীর রাত পর্যন্ত তারা চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার ও পুরাণবাজার এলাকায় পুজা মন্ডপ ঘুরে আনন্দ উপভোগ করে। এ বছর চাঁদপুরের এক ঐতিহ্য সরস্বতি পুজার শোভাযাত্রা বের না হওয়ার কারণে পুজার আয়োজকরা দু’দিন ব্যাপী সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শিশু কিশোরদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এসব অনুষ্ঠান দেখে ভক্তরা আনন্দ উপভোগ করে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ সরস্বতিকে বিদ্যার দেবী হিসেবে গননা করে থাকেন। সেই লক্ষে পাড়া মহল্লায়, মন্দিরে ও স্কুল কলেজে শিক্ষার্থিরা সরস্বতী পূজার আয়োজন করেছে। আর হিন্দু যুবসমাজ সবচেয়ে বেশি আনন্দঘন পরিবেশে সরস্বতি পূজার আয়োজন করে। প্রতিটি পুজা মন্ডপে বাহারী লাইটের প্রদর্শন ও ইকোসেটের উচ্চ শব্দে জনসাধারণের মারাত্মকভাবে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে। শহরের কোন কোন স্থানে সড়কের উপর প্রতিবন্দকতা সৃষ্টি করেও পুজার আয়োজন করা হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়া জনসাধারণ মনে করেন প্রশাসন যদি সড়কের উপর থেকে এসব মন্ডপ সরিয়ে নির্দিষ্ট খোলা স্থানে পুজার আয়োজন করে তাহলে সকলেই উপকৃত হবে।