২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবলে বাংলাদেশের খেলা দেখতে জাতীয় দলের মিডফিল্ডার সোহেল রানাকে ভালো লেগে যায় সৈয়দা তামিলা সিরাজীর (অনামিকা)। এরপর ফেসবুকে দুজনের কথা চলতে থাকে। একপর্যায়ে পরিচয় থেকে প্রেম। তার পর আজ বিয়েতে গড়ালো তাদের সম্পর্ক। রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এক বন্ধনে বাধা পড়েছে দু’জনের হাত।
ধানমন্ডির এক রেস্টুরেন্টে পারিবারিকভাবে কাছের আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে সেই ভক্তের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন সোহেল রানা। ইউল্যাব থেকে গত ডিসেম্বরে এমবিএ পাশ করা অনামিকা একজন পুরোদস্তুর ফুটবলপ্রেমী।
সোহেলের সঙ্গে পরিচয় নিয়ে অনামিকা বলেছেন, ‘আমি ফুটবল খেলা পছন্দ করি। ২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গিয়ে সোহেল রানার খেলা ভালো লেগে যায়। পরে ফেসবুকে যোগাযোগ হয়। সেখান থেকে ঘনিষ্ঠতা এবং শেষ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক বন্ধনে জড়িয়ে যাই। আমাদের দু’জনের জন্য দোয়া করবেন। আসলে একজন জাতীয় দলের ফুটবলারের স্ত্রী হওয়াটা গর্বের বিষয়।’
সোহেলের ম্যাচের দিন অনামিকা নিজেও টেনশনে থাকেন। তাই সোহেল গোল করলেই দিনটা অন্যরকম কাটে তার। সেই অনুভূতির কথা জানিয়ে অনামিকা আরও বলেছেন, ‘সোহেলের খেলার দিন খোঁজ খবর রাখি। সোহেল গোল করলে দিনটি অন্যরকম কাটে।’
সোহেল রানা জাতীয় দলে মিডফিল্ডার হিসেবে প্রায় ১০ বছর ধরে খেলে আসছেন। ঘরোয়া ফুটবলে আবাহনী লিমিটেডের অপরিহার্য খেলোয়াড় হিসেবেও খেলছেন। সোহেল রানা নিজের বিয়ে নিয়ে বলেছেন, ‘শুরুতে আমার খেলার ভক্ত হিসেবে ও(অনামিকা) যোগাযোগ করে। এরপর ধীরে ধীরে আমাদের মধ্যে সম্পর্ক হয়ে যায়। আমরা বিয়ে করে অনেক আনন্দিত।’
আগামীতে কোনও একসময় নিজের বিবাহত্তোর সংবর্ধনা করার ইচ্ছা আছে এই নব দম্পতির।