সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মরদেহের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (১২ মার্চ) বিকাল সোয়া ৫টায় সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ কাসিম আলী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে নামাজে জানাজা শেষে বাড়ির সামনে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে সামাহিত করা হয়।
এর আগে দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিপ্যাডে করে ফেঞ্চুগঞ্জের এনজিএফএফ খেলার মাঠে লাশ বহনকারী হেলিপ্যাড অবতরণ করে। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এমপি মাহমুদ উস সামাদের লাশ ফেঞ্চুগঞ্জের নুরপুর বড়বাড়িতে নেওয়া হয়। অ্যাম্বুলেন্সটি প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে কান্নায় ভেঙে পড়েন দলীয় নেতাকর্মী ও প্রতিবেশিরা।
মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর এপিএস জুলহাস আহমদ বলেন, ‘হার্টের সমস্যায় তিনি বাইপাস করিয়েছিলেন। করোনা আক্রান্তের পর প্লাজমা থেরাপিও দেওয়া হয়। কিন্তু তাকে বাঁচানো গেলো না। নিজের মৃত্যু নিজেই হয়তো আগেই টের পেয়েছিলেন, তাই পিতার নামে তৈরি করা দৃষ্টিনন্দন মসজিদের পাশেই ঠিক করে রেখেছেন নিজের কবরের জায়গা।’
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) ২টা ৪০ মিনিটে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। মাহমুদ উস সামাদ ১৯৫৫ সালের ৩ জানুয়ারি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন।