কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সদরের সাথে সাহেবাবাদ ইউনিয়নকে পৌরসভার অন্তর্ভূক্ত না করার দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বিকালে কুমিল্লা-ব্রাহ্মণপাড়া-মিরপুর সড়কের সাহেবাবাদ বাজার এলাকায় ঘন্টাব্যাপী এ প্রতিবাদ সভা ও মানবনন্ধন করেন ওই এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন।
প্রতিবাদ সভায় ও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাহেবাবাদ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন নান্নু, উপজেলা মৎস্যজীবি লীগের আহবায়ক মনির হোসেন চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক রাশেদুল ইসলাম আশরাফ। বক্তরা বলেন, ব্রাহ্মণপাড়া সদর ইউনিয়ন ও ৭নং সাহেবাবাদ ইউনিয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণপাড়া পৌরসভা গঠনের যে প্রক্রিয়া চলছে তা আমাদের ইউনিয়নবাসীর অনিচ্ছাকৃত। কারণ সাহেবাবাদ ইউনিয়নের মোট জমি প্রায় ৬০ ভাগ কৃষি জমি এবং অত্র ইউনিয়নের প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ কৃষি কাজের সাথে সম্প্রক্ত ও কৃষি নির্ভশীল। বাকী ৩০ ভাগের মধ্যে প্রায় ১৫ ভাগ প্রবাসী। ১০ ভাগ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি চাকুরীজিবী এবং প্রায় ৫ ভাগ লোক ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত। যা পৌরসভা গঠনে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন-২০০৯ (৫৮ নং আইন) ০৩ এর ০২ নং উপধারার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। আমরা সাহেবাবাদ ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগনের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা ব্রাহ্মণপাড়া পৌরসভার অন্তরভূক্ত হইতে অনিচ্ছুক। সাহেবাবাদ ইউনিয়নকে পৌরসভার অন্তরভূক্ত না করে পৌরসভা গঠনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকের প্রতি আমরা ইউনিয়নবাসী জোর দাবী জানাই।
প্রতিবাদ সভায় ও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, হাজী দুলাল হোসেন সরকার, খোরশেদ আলম ঠিকাদার, ইয়ার খান মেম্বার, জীবন মিয়া, আলম খান, শাহ আলম আখন্দ, মোখলেছুর রহমান (মোহন) হুমায়ুন কবির মোল্লা, মশিউর রহমান ভূইয়া, আল আমিন, ইসমাইল হোসেন, মোশারফ হোসেন রানা, বিএনপি নেতা মানিক মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া, খলিল উদ্দিন মেম্বার, যুবলীগ নেতা খলিলুর রহমান, গাজী সফিউল্লাহ, ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম, কাশেম সর্দার, হাজী জসিম উদ্দিন আখন্দ, মোস্তাফিজুর রহমান রাজিব, শাহজাহান প্রমুখ।