হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী আজ। বাংলা, বাঙালি ও
বাংলাদেশের সঙ্গে অভিন্ন সত্তায় পরিণত হওয়া এই মহানায়কের জন্মদিন বাঙালি
জাতির জন্য এক নির্মল আনন্দের দিন। নানা রকম অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত
হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী। জাতি বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে জাতির জনক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। শুধু বাংলাদেশে নয়, পৃথিবীর যেখানেই বাঙালি
আছে, সেখানেই নিখাদ ভালোবাসায় উদযাপিত হবে এই দিনটি। বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে এক বছর আগে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করা
হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে একটি পতাকা দিয়েছেন,
একটি স্বাধীন ভূখ- দিয়েছেন এবং বিশ্বসভায় বাঙালি জাতিকে মর্যাদার আসনে
প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। তাঁরই দেখানো পথ ধরে দেশ আজ এগিয়ে চলেছে। নেতৃত্ব
দিচ্ছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু
দেশ গড়ার কাজে খুব বেশি সময় হাতে পাননি। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির মদদে কিছু
বিশ্বাসঘাতক সেনাসদস্য তাঁকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। জাতির মুখে কালিমা
লেপন করেছিল। বিদেশে থাকায় এই হত্যাকা- থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন তাঁর দুই
কন্যা। আমাদের সৌভাগ্য, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা সেদিন নিজের
জীবনের মায়া না করে স্বাধীনতার অর্জনগুলো রক্ষায় এগিয়ে এসেছিলেন। দেশকে
আবার বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথে এগিয়ে নিতে প্রাণপণ লড়াই করে চলেছেন। তাঁর
সেই চেষ্টা সফল হয়েছে। নানা ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে চলেছে।
এসবই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথে প্রত্যাবর্তনের কারণে।
বঙ্গবন্ধু
শিশুদের খুবই ভালোবাসতেন। বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় তিনি জন্মদিন পালন করেছেন
শিশুদের নিয়ে। তাই শিশু সংগঠনগুলোর দাবির মুখে ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুর
জন্মদিন ১৭ মার্চকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। সে মোতাবেক আজ
একই সঙ্গে জাতীয় শিশু দিবসও। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন শিশু সংগঠনও
দিবসটিতে নানা কর্মসূচি নেবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজ আমাদের
অস্তিত্বের অংশ হয়ে গেছেন। নিজের অস্তিত্বের প্রয়োজনেই আমাদের বঙ্গবন্ধুর
আত্মত্যাগকে জানতে হবে। অস্তিত্ববিরোধী যেকোনো ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ
থাকতে হবে। সেই সঙ্গে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হবে তাঁর আদর্শ।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই তাঁকে যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন
সম্ভব। জয় বঙ্গবন্ধু।