বিপজ্জনক পণ্য বন্দর থেকে দ্রুত ডেলিভারি না নিলে ৪ গুণ ভাড়া
Published : Thursday, 25 March, 2021 at 12:00 AM
বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা বিপজ্জনক (ডিজি) এবং রাসায়নিক পণ্যভর্তি কনটেইনার ও কার্গো (পণ্য) বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড থেকে দ্রুত ডেলিভারি নিতে সংশ্লিষ্টদের জন্য তাগিদ দিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবহন বিভাগ।
আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ডেলিভারির পরিমাণ আশানুরূপ না বাড়ালে এপ্রিল থেকে আমদানি করা কেমিক্যাল, হ্যাজাডার্স পণ্য ভর্তি কনটেইনার ও পণ্যে চারগুণ বেশি স্টোর রেন্ট বা গুদামভাড়া আরোপ করা হবে।
এসব পণ্য বন্দরে অবতরণের দিন থেকে চার দিন ফ্রি টাইম থাকবে। এরপর রেগুলেশনস ফর ওয়ার্কিং অব চিটাগাং পোর্ট (কার্গো অ্যান্ড কনটেইনার), ২০০১ এর ১৬০ ধারার আলোকে স্টোর রেন্ট বা গুদামভাড়ার ওপর স্ল্যাব নির্বিশেষে বর্ধিত হার আরোপ করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি লেবাননের বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ডেলিভারি না নেওয়া কেমিক্যাল ধ্বংসের উদ্যোগসহ নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, সম্প্রতি দেখা গেছে বন্দর থেকে জিডি কার্গো ও কনটেইনার ডেলিভারিতে দেরি হচ্ছে। এতে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর ঝুঁকির মধ্যে থাকছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত, বন্দরের অপারেশন ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে আমরা আমদানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও সংশ্লিষ্টদের দ্রুত ডিজি কার্গো ডেলিভারি নেওয়ার বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সার্বক্ষণিক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দর বিভিন্ন ইয়ার্ড ও টার্মিনাল মিলে ২০ ফুট দীর্ঘ (টিইইউ’স) ৪৯ হাজার ১৮টি কনটেইনার ধারণক্ষমতার বিপরীতে বুধবার (২৪ মার্চ) সকাল ৮টায় কনটেইনার ছিল ৩৬ হাজার ২৩টি। আগের দিন ছিল ৩৪ হাজার ৭১২টি। বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বন্দর থেকে ডেলিভারি হয়েছে ৪ হাজার ২৫৫টি। জাহাজ থেকে বন্দরে নেমেছে ৪ হাজার ৮৫০টি, জাহাজে তোলা হয়েছে ২ হাজার ২৯৮টি। বন্দরে নিলামযোগ্য কনটেইনার আছে ৭ হাজার ৪৪১টি।