ভিয়েনাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন কর্তৃক যথাযোগ্য মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উপলক্ষ্যে গৃহীত কার্যক্রমের শুরু হয়। এরপর দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অস্ট্রিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সকাল ১০টায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে একটি অনলাইন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস'র বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। আলোচনা সভায় অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া ও স্লোভাকিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, ছাত্র এবং অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। আলোচনাপর্বের শুরুতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণীসমূহ প্রচার ও পাঠ করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র মন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়। রাষ্ট্রদূতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন মিশন উপ-প্রধান জনাব রাহাত বিন জামান।
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, স্বাধীনতা সংগ্রামে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে বিশ্বে দরবারে বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শূন্য থেকে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য।
আলোচনাপর্বে বক্তারা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার বিভিন্ন পর্যায়ের আন্দোলন-সংগ্রাম, পরবর্তীকালে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের নেতৃত্ব এবং স্বাধীনতাত্তোর দেশ পুনর্গঠন ও জাতির সেবায় বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং আত্মত্যাগ সম্পর্কে সারগর্ভ আলোচনা করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের সম্মানসূচক কাতারে অন্তর্ভুক্তিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ও ভবিষ্যতে আরও সাফল্যের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।