Published : Friday, 9 April, 2021 at 12:00 AM, Update: 10.04.2021 12:27:38 AM
তানভীর
দিপু: গত ১০ দিনে কুমিল্লায় করোনা ভাইরাসে প্রাণহানির সংখ্যা ২৬, সংক্রমণ
শনাক্ত হয়েছে ৭৯০ জনের। এই সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন মাত্র ২৫ জন। গত ২৪
ঘন্টায় মারা গেছে ২ জন, নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৮২ জন। এনিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা
৩১৩ এবং মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১০ হাজার ৫০২।
এদিকে করোনা
সংক্রমণ কমিয়ে আনার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বার বার আহ্বান
জানাচ্ছেন জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ
কামরুল হাসান। এছাড়া করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা গ্রহনের জন্য
কুমিল্লাবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান
জানান, আমরা গতকাল কুমিল্লার বিভিন্ন জায়গা পর্যবেক্ষণ করেছি। ৯টা-৫টা
দোকান খোলা রাখার বিষয়টি মানুষ খুব ভালো ভাবে মেনেছে। এছাড়া অধিকাংশ
মানুষকে মাস্ক ব্যবহার করতেও দেখেছি। দ্বিতীয় লকডাউনে আমরা আরো কঠোর হবো।
সরকারি যেসব নির্দেশনা থাকবে তা শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে। আমরা চেষ্টা করছি
সংক্রমন কমিয়ে আনার। মাঠে মোবাইল কোর্ট চালু রয়েছে, যে কোন ধরনের অনিয়ম
রোধে তারা কাজ করছেন। আমরা আরো একটি বিষয়ে কঠোর হওয়ার চেষ্টা করছি যেন
সন্ধ্যা ৭টার পর কোন ধরনের যানবাহন চলাচল না থাকে।
জেলা প্রশাসক আরো
জানান, কুমিল্লায় করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ এসে পৌঁছেছে এবং টিকাদান চালু
রয়েছে। যারা টিকার প্রথম ডোজও নেন নি তারা টিকা নিয়ে নিন। এছাড়া একই সাথে
টিকার দ্বিতীয় ডোজও চলমান থাকবে।
গত বুধবার করোনা টিকার ১ লাখ ৪১ হাজার
ডোজ এসে পৌঁছায় কুমিল্লায়। জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট
ও জেলা ভ্যাকসিনেশন কমিটির সদস্য ছাড়াও এসময় উপস্থিতি ছিলেন জেলা করোনা
প্রতিরোধ কমিটির উপদেষ্টা ও সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আ ক ম বাহাউদ্দিন
বাহার। তিনি এসময় সাংবাদিকদের জানান, সাধারাণ মানুষের উচিত টিকা গ্রহন
করা। কুমিল্লার জন্য দ্বিতীয় ডোজও এসে পৌঁছে গেছে, এটা আমাদের জন্য
সৌভাগ্য। আমিও টিকা নিয়েছি, কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি।
তিনি আরো
জানান, কুমিল্লায় করোনার চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের
করোনা ইউনিটের পাশাপাশি সদর হাসপাতালেও ৩০ শয্যা বিশিষ্ট একটি করোনা ওয়ার্ড
স্থাপন করা হচ্ছে। এই সম্পাহের সোমবারের মধ্যেই এই ওয়ার্ডটি চালু হবে বলে
আশা করছি।
এদিকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু
হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত
স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে বলে
গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। তবে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে না
চললে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার থাকলেও
নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কুমিল্লা শহরে খোলা ছিলো অনেক দোকানপাট ও শপিং মল।
তবে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা ছিলো খুবই কম। তারপরও বিকেল
৫টার পর থেকেই লকডাউনের আইন মানাতে শহরের রাস্তায় দেখা গেছে প্রশাসন ও
আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর টহল গাড়ী। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিকাল ৫টার পরই টহল
পুলিশ পর্যবেক্ষণ করেন কোথাও কোন দোকানপাট খোলা থাকছে কি না।