ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
‘কঠোর লকডাউনে’ সিনেমা হল, চলচ্চিত্র-নাটকের শুটিং বন্ধ
Published : Saturday, 10 April, 2021 at 12:48 PM, Update: 10.04.2021 12:50:25 PM
‘কঠোর লকডাউনে’ সিনেমা হল, চলচ্চিত্র-নাটকের শুটিং বন্ধকরোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের ‘কঠোর লকডাউনে’ দেশের সব সিনেমা হল বন্ধ রাখবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি; সরকারি সিদ্ধান্তের সঙ্গে সমন্বয় রেখে এ সময় চলচ্চিত্র ও টিভি নাটকের দৃশ্যধারণও বন্ধ থাকবে বলে জানান প্রযোজকরা।

কঠোর লকডাউনে জরুরি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ।

দেশে চলমান এক সপ্তাহের লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিনেমা হল, চলচ্চিত্র ও টিভি নাটকের দৃশ্যধারণ চললেও ‘কঠোর লকডাউনে’ সিনেমা হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান প্রদর্শক সমিতির সহ সভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন।

লকডাউনের বিধি মেনে এক সপ্তাহের জন্য চলচ্চিত্র ও টিভি নাটকের দৃশ্যধারণও বন্ধ রাখা হবে বলে জানান চলচ্চিত্রের প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু ও টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশর (টেলিপ্যাব) সভাপতি ইরেশ যাকের।

শনিবার মিয়া আলাউদ্দিন বলেন, “চলমান লকডাউনে ২৫টির মতো সিনেমা হল বাদে বেশিরভাগই বন্ধ আছে। সাত জেলার জেলা প্রশাসকরা হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কঠোর লকডাউনে সংগঠনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে সব হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।”

খোরশেদ আলম খসরু বলেন, “কঠোর লকডাউনে চলচ্চিত্রের দৃশ্যধারণ কোনোভাবেই করা সম্ভব না। শুটিং বন্ধ থাকবে।”

কঠোর লকডাউনের নিয়ম মেনে সাংগঠনিকভাবে নির্মাতা-অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীদের শুটিং না করার নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানান ইরেশ যাকের।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে প্রায় সাত মাসের জন্য দেশের সব সিনেমা হল বন্ধ ছিল। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অর্ধেক আসন খালি রাখার শর্তে হল খোলার অনুমতি দিয়েছিল সরকার।

লকডাউনেও সেই নিয়মেই সিনেমা হল চলছে বলে জানান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস।

তার ছয় মাসের ব্যবধানে ফের সিনেমা হলগুলো বন্ধ হচ্ছে এক সপ্তাহের জন্য; পরবর্তিত পরিস্থিতিতে ‘কঠোর লকডাউনের’ মেয়াদ বাড়লে হল বন্ধের মেয়াদ বাড়বে বলে জানিয়েছে প্রদর্শক সমিতি।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মাঝে কয়েক মাস চলচ্চিত্র ও টিভি নাটকের শুটিং বন্ধ ছিল; পরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমতে থাকায় শুটিং শুরু হয়েছে।