ভিড় সামলাতে শিমুলিয়া ঘাটে ফেরি চালু, লঞ্চ বন্ধ
Published : Tuesday, 13 April, 2021 at 12:00 AM
আসন্ন লকডাউনের কারণে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ দেখা দিয়েছে। ঘাটে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাতশ’ যান নদী পারের অপেক্ষায় অবস্থান করছে। যান ও যাত্রীদের ভিড় সামলাতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। কিন্তু, লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এতে, ট্রলারে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা নদী পার হচ্ছেন দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা।
সোমবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকেই ঘাটে প্রচ- ভিড় দেখা দেয়।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, পরিস্থিতির কারণে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করতে হয়েছে। বর্তমানে ১৪টি ফেরি এই রুটে চলছে। মানুষজন বাসা-বাড়ি ছেড়ে পিকআপ ট্রাকে করে ঘাটে চলে আসছে। তাদেরতো নদী পার করে দিতে হবে। ১৪ এপ্রিল থেকে হয়তো আবার কঠোর হবে কর্তৃপক্ষ।
যাত্রীবাহী পরিবহন বন্ধ থাকায় পিকআপ ও অন্যান্য যানে করে ঘাটে আসছেন যাত্রীরাযাত্রীবাহী পরিবহন বন্ধ থাকায় পিকআপ ও অন্যান্য যানে করে ঘাটে আসছেন যাত্রীরা
মুন্সীগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) নাজমুর রায়হান জানান, সকালের দিকে যানবাহনের খুব বেশি চাপ ছিল। এখন সাড়ে তিনশ’ পণ্যবাহী ট্রাকসহ প্রায় ৬-৭শ’ যান নদী পারের অপেক্ষায় আছে।
এদিকে, লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকার কারণে ট্রলারে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা নদী পার হচ্ছেন যাত্রীরা। ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে ট্রলার নিয়ন্ত্রণ করা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের ( বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী পরিচালক মো. সাহাদাত হোসেন বলেন, করোনার কারণে সরকারি নির্দেশনায় লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ট্রলারে করে যাত্রীরা পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। কিছু স্পিডবোটও লুকোচুরি করে যাত্রী পার করছে। যেহেতু ট্রলার বা স্পিডবোট চলাচল করতে ঘাটের প্রয়োজন পড়ে না, তারা নদীর পাড়ের যে কোনও স্থান থেকে যাত্রী নিতে পারে, তাই তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখা মুশকিল হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবীর জানান, স্বল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে হাজার হাজার যাত্রীর চাপ সামলানো সম্ভব নয়।
এদিকে, ঘাটে উপস্থিত হাজারো যাত্রীর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনও বালাই দেখা যায়নি। বেশিরভাগেরই মুখে মাস্ক নেই, অনেকের আবার থুতনিতে মাস্ক ঝুলছে।
স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার বিষয়ে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে প্রশাসন নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ও ঘাটে মাইকিং করা হয়। তবে, আজ কোনও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়নি। ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে যাত্রী পারাপারের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।