করোনার সংক্রমণ রোধকল্পে দ্বিতীয় দফার তৃতীয় দিনে সারা দেশে অধস্তন আদালতে ৩৯৮৬টি আবেদনের ভার্চুয়াল শুনানি নিয়ে ২৩৬০ জন আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মুহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে দ্বিতীয় দফায় সারা দেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন এবং জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তের ওপর শুনানি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে ভার্চুয়াল শুনানিতে ৩৯৮৬টি জামিনের দরখাস্ত নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং ২৩৬০ জন হাজতি অভিযুক্ত আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ভার্চুয়াল আদালতের প্রথম দিন ১৩ এপ্রিল সারা দেশে অধস্তন আদালতে ১৬০৪ জন এবং দ্বিতীয় দিন ১৪ এপ্রিল ৩২৪০ জন আসামিকে জামিন দেওয়া হয়। আর তিন কার্যদিবসে মোট কারামুক্তি পেয়েছেন ৭২০৪ জন হাজতি আসামি।
প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়— ‘করোনা মহামারির ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তগুলো নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।’
এছাড়াও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্বপালন করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।