ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কঠোর লকডাউনেও নিষেধাজ্ঞা মানতে অনীহা!
Published : Friday, 16 April, 2021 at 12:00 AM
 
রণবীর ঘোষ কিংকর।
করোনা সংক্রামন নিয়ন্ত্রণে ৮দিনের কঠোর ‘লকডাউন’ মানতেও যেন অনীহা। স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হাট-বাজারগুলোতে দেদারসে ঘুরছে মানুষ। প্রশাসনের সামনে পড়লেই নানা অযুহাত।
সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের কয়েক দফা অভিযানের পরও যেন প্রশাসনের সাথে ‘চোর-পুলিশ’ খেলায় মগ্ন বাজারের কিছু ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। বাজার ছাড়াও পথে-ঘাটে মানুষের অবাধ ছুটে চলা বন্ধ হয়নি। প্রাণঘাতি করোণা ভাইরাসে নেই কোন ভীতি, সরকারের কঠোর লকডাউন যেন ভিত্তিহীন।
সরেজমিনে কুমিল্লার চান্দিনা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, টানা দুই দিনের মাছ বাজারগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভীড়। প্রধান সড়কের পুলিশ একদিকে মাইকিং করছে, অপরদিকে বাজারের ভিতরের গলিগুলোতে মানুষের ভীড়ে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধ, মুদি, কাঁচামালের দোকানের সাথে সাথে খোলা আছে স্টেশনারী, কাপড় দোকানও। প্রশাসন আসলেই সাঁটার নামিয়ে ভিতরে চলে যায় দোকানীরা। আমার প্রশাসন চলে গেলে ফের খুলে বসে তারা। সারাদিনই তারা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় ক্রেতারাও তাদের কাঙ্খিত মালামাল কিনতে পারায় দিনভর মানুষের আনা-গোনা থাকে উপজেলার চান্দিনা, মাধাইয়া, মহিচাইল ও নবাবপুর বাজারে।
অপরদিকে, গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ দোকান-পাট তো সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলাই থাকে।
কথা হয় চান্দিনা বাজারে আসা ক্রেতা আব্দুর রহমানের সাথে। তিনি জানান- আমি বাচ্চার জন্য গেঞ্জি কিনতে আসছি। পূর্ববাজারের খোলা দোকানগুলোতে সামনে পর্দা নামানো থাকলেও ভিতরে বেচাকিনি হয়।
অপরক্রেতা আনিছুর রহমান জানান- আমি বিদেশে থাকি। ছুটিতে বাড়িতে এসে ঘর নির্মাণ করছি। আমার টাইলসের প্রয়োজন। দোকানদাররা দরজা বন্ধ করে সামনে বসে থাকে। ক্রেতা গেলে ভিতরে নিয়ে যায়। আমি ১ লক্ষ ৭ হাজার টাকার টাইলস কিনে গেছি। আগামীদিন (শুক্রবার) ভোরে তারা আমার বাড়িতে পৌঁছে দিবে।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামসউদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান- সকাল থেকে একাধিক টিম বাজারে বাজারে ঘুরে মাইকিং করে মানুষ সরিয়ে দিচ্ছে। আমি নিজেও রাস্তা-ঘাটে ও বাজারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। মানুষ বিভিন্ন জরুরি অযুহাতে বাজারে ভিড় জমাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশ জানান- প্রথমদিন সকল ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দিয়েছি। দ্বিতীয়দিন অভিযানে জরিমানা করার পাশাপাশি মেয়র ও ওসিকে নিয়ে বাজার ঘুরে  ক্রেতা-বিক্রেতাদের বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়েছি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কঠোরতা আরও বৃদ্ধি পাবে।