সড়কে যুবকের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনায় এক উপপরিদর্শক (এসআই)-সহ তিন সদস্যকে প্রত্যাহার করে ফেনী পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত (ক্লোজড) করা হয়েছে। সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাতে পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার নূর নবী স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের ফেনী থানা থেকে সরিয়ে পুলিশ লাইন্সে যুক্ত করা হয়। প্রত্যাহার হওয়া তিন সদস্যের মধ্যে একজন এসআই যশোমন্ত মজুমদার। তারা রবিবার ফেনী শহরের ট্রাংক রোড় এলাকার মডেল হাইস্কুল এলাকার দায়িত্বে ছিলেন।
ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশ সুপারের আদেশে প্রশাসনিক সংযুক্তির কথা উল্লেখ করা আছে।
স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়. লকডাউন চলাকালে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডের মডেল হাইস্কুলের সামনে রবিবার বিকালে পুলিশের সঙ্গে এক যুবকের বাগবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ৩ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, মাস্কবিহীন এক যুবক রিকশাযোগে শহরের উকিলপাড়া থেকে ট্রাংক রোডের দিকে যাচ্ছিলেন। ফেনী মডেল স্কুলের সামনে মডেল থানার দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) যশোমন্ত মজুমদারসহ পুলিশ সদস্যরা তার রিকশার গতি রোধ করেন।
এসময় কেন গতি রোধ করা হলো, এ কথা জানতে চেয়ে ওই যুবক চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘অন্য রিকশা ছেড়ে দিছস। আমার রিকশা কেন ধরা হয়েছে?’ এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাকে রিকশা থেকে জোরপূর্বক নামান। এতে ওই যুবক আরও ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে গালমন্দ করতে থাকেন। এ সময় পুলিশ তাকে ‘পাগল’ আখ্যা দিলে, ওই যুবক কেন তাকে পাগল বলা হলো, তার কারণ জানতে চান। পুলিশ তার হাতে হাতকড়া লাগানোর চেষ্টা করলে চার পুলিশ সদস্যের সঙ্গে ওই যুবকের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। তখন ওই যুবক বারবার বলতে থাকেন, ‘এ দেশ কি পুলিশের দেশ?’ এ সময় হাতকড়া লাগাতে না পেরে এক পুলিশ সদস্য তাকে পিঠমোড়া করে রাস্তায় চেপে ধরলে সড়কের আশপাশের লোকজন প্রতিবাদ জানায়। হাতকড়া লাগানোর পর ওই যুবক দাঁড়িয়ে পুলিশকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। পরে তাকে থানায় নেওয়া হয়।
তবে আটক যুবক মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন।