
চলতি লকডাউনে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে ফিরে আসা দেড় হাজার বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীর মধ্যে ১৮ জনেরই করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। তাদের পুলিশ প্রটেকশনে বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে যশোর জেনারেল হাসপাতাল করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান।
গত ৬ দিনে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে দেশে ফিরেছেন দেড় হাজার বাংলাদেশি। করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকা সত্ত্বেও দেশে ফিরে আসা যাত্রীদের বেনাপোল ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ১৮ জন যাত্রীর দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।
ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসীসহ দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতকারী পাসপোর্টধারী যাত্রীরা। তবে সতর্কতাই মিলতে পারে মুক্তি এমন মন্তব্য যাত্রীদের। স্বাস্থ্য কর্মীরাও দিচ্ছেন সচেতনতার নানান পরামর্শ।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে একমাত্র বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে স্থলপথে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত সচল রয়েছে। ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় দেশের অন্যান্য স্থলপথে ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম সায়মিক বন্ধ রয়েছে।
বর্তমানে ভারত ভ্রমণের ক্ষেত্রে গত বছরের জুলাইয়ের পর ইস্যুকৃত নতুন ভিসা আর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরটিপিসিআর থেকে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ লাগছে। এ পথে যারা যাতায়াত করছেন তাদের ৯৫ শতাংশ মেডিকেল ভিসায়। ৫ শতাংশ বিজনেস, স্টুডেন্ট আর কূটনৈতিক ভিসায় যাতায়াত করছে। দুইবার করোনা পরীক্ষায় তিন হাজারেরও অধিক টাকা খরচে বেশ কষ্ট পোহাতে হচ্ছে চিকিৎসাসেবীদের।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার সুবামিষ রায় জানান, করোনা পজিটিভ যাত্রীদের পুলিশ প্রটেকশনে বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে যশোর জেনারেল হাসপাতাল করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ভারত থেকে ফিরে আসা অধিকাংশ যাত্রীদের বেনাপোলের বিভিন্ন হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। পরবর্তিতে তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হবে।
চেকপোস্ট স্বাস্থ্য বিভাগে সতর্কতা জারি রয়েছে। গত ৬ দিনে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে ফিরে আসা ১৫০০ বাংলাদেশির মধ্যে ১৮ জন করোনা আক্রান্ত। এছাড়া করোনা নেগেটিভ সনদ থাকার শর্তেও এমন ১০৬ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে একজনের দেহে করোনা পজিটিভ মিলেছে।