ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
২৯ বছর পর হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে ফিরে পেলেন বাবা-মা
Published : Sunday, 25 April, 2021 at 8:21 PM
২৯ বছর পর হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে ফিরে পেলেন বাবা-মা ঢাকায় চাচার বাসায় বেড়াতে গিয়ে মাত্র ৬ বছর বয়সে হারিয়ে গিয়েছিলেন মাসুদ। দীর্ঘ ২৯ বছর পর সেই মাসুদ ফিরে পেলেন তার পরিবারকে।

চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার দেওয়ানজীপাড়া গ্রামের বাচ্চু মোল্লার ছেলে মাসুদ। ২৯ বছর পূর্বে ঢাকার মুগদায় চাচার বাসায় বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে যান তিনি। সেই সন্তানকে ফিরে পেয়ে আপ্লুত তার পরিবার।

জানা গেছে, ১৯৯২ সালে ঢাকার মুগদায় চাচা খোরশেদ মোল্লার সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে যায় ৬ বছর বয়সের শিশু মাসুদ। তখন থেকেই শিশুসন্তানকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পায়নি তার পরিবার।

চলতি এপ্রিল মাসে আরজে কিবরিয়া ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশিত ‘আপন ঠিকানা’ নামে একটি অনুষ্ঠানে নিজের আপন ঠিকানা খুঁজতে আসেন মাসুদ। সেখানে এসে নিজের হারিয়ে যাওয়া অতীতের স্মৃতি, বাবা-মা ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য ও চাঁদপুরের বাড়ির নামসহ যতটুকু মনে ছিল তা তুলে ধরেন।

ইউটিউব চ্যানেল আরজে কিবরিয়া অনুষ্ঠান আপন ঠিকানা ১৬ নাম্বার এপিসোড প্রকাশিত মাসুদের পরিবার হারানোর কথা বলে অনুষ্ঠান প্রকাশিত হয়। ইউটিউব চ্যানেলে অনুষ্ঠানটি ভাইরাল হলে মাসুদের পরিবার যোগাযোগ করে আরজে কিবরিয়ার সঙ্গে।

শনিবার আরজে কিবরিয়া স্টুডিওতে মাসুদের পায়ে দুটি ক্ষত চিহ্ন, মুখে তিল ও হাতের গোড়ায় পোড়া দাগ দেখে মাসুদের বাবা বাচ্চু মোল্লা ও মা নাজমা বেগম তাদের হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে শনাক্ত করেন। প্রমাণ ও তথ্যাদি হাতে পেয়ে মাসুদের জীবনে হারিয়ে যাওয়া ঠিকানা বুঝিয়ে দেয়।

ঘটনাক্রমে শিশু মাসুদ হারিয়ে যাওয়ার পর ঢাকার মগবাজার এলাকার মনির হোসেন নামে এক ব্যক্তি কুড়িয়ে পেয়ে তাকে বাসায় নিয়ে আসেন। মনিরের বাবা আবুল কাশেম ও মা সুরমা বেগমের কাছেই মাসুদ বড় হয়। এরপর শিশু মাসুদ বড় হলে সাভার এলাকার রুবিনা আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয়। এখন তাদের সংসারে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে।

মাসুদের মা-বাবা জানান, আমাদের সন্তানকে পেয়ে আল্লাহর দরবারে লাখো শুকরিয়া।

মাসুদের স্ত্রী রুবিনা জানান, তার স্বামী পরিবারের সন্ধান পেয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছেন। দীর্ঘদিন পর স্বজনদের খুঁজে পেয়ে তার স্বামীর চোখেমুখে আনন্দ দেখে তিনিও অনেক খুশি।