Published : Tuesday, 4 May, 2021 at 12:00 AM, Update: 04.05.2021 12:40:50 AM
মো. হাবিবুর রহমান, মুরাদনগর ||
শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, টুপি, সালোয়ার, ব্লাউজ, পেটিকোট, সেলাই ছাড়া থ্রিপিস ইত্যাদি থান কাপড়ের দোকানগুলো বেচাকেনা শেষ করতো রমজানের প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যে। করোনা প্রতিরোধে সর্বাত্মক লকডাউনের কারণে এবার ঈদবোজারে ভাটা পড়েছে। লকডাউনের মধ্যেই কয়েকদিন ধরে দোকানপাট খোলা রাখা হলেও বেচাকেনা নেই বললেই চলে। এমন চিত্র গত কয়েক দিন যাবত চোখে পড়ছে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ বাজার।
কোম্পানীগঞ্জ বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, এখানে মফস্বলের অনেক দোকান পাইকারি পণ্য নিয়ে যায়। কিন্তু করোনা মন্দার কারণে এবার তা বন্ধ বললেই চলে। এতে বন্ধ রয়েছে দোকানিদের কালেকশন বা বাকি টাকা আদায়।
আলিফ ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী আব্দুর রহিম দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, ঈদের বেচাকেনার জন্য প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই পণ্যসামগ্রী সংগ্রহ করেছে। এখন বেচাকেনা খুবই খারাপ হচ্ছে। এ ভাবে চলতে থাকলে টিকে থাকাই কষ্টকর হবে।
কোম্পানীগঞ্জ কলেজ মার্কেট সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন মজনু দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতির খবর, তীব্র খড়তার উত্তপ্ত গরম, গণপরিবহন বন্ধ, কর্মজীবীদের বেতন-বোনাসের অপোসহ নানা কারণে বেচাকেনা নেই বললেই চলে। তিনি আরো বলেন, কোম্পানীগঞ্জ বাজারে আড়াই হাজার ছোট-বড় দোকানে ২০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ঈদ বাজার নিয়ে উদ্বিগ্ন। আশা করছি, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে রেডিমেড পোষাক পণ্যের ঈদ বাজার চাঙা হবে। থান কাপড় বা কাটা কাপড়ের ব্যবসায়ীরা এবার লোকসানে রয়েছেন।
কোম্পানীগঞ্জ বাজার কমিটির সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদে যাতে গ্রাহকেরা কেনাকাটা করতে পারেন, তার জন্য প্রতিটি দোকানকে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক রাখার বিষয়টি সিরিয়াসলি মনিটরিং করছি আমরা।