দেশের
বিভিন্ন অঞ্চলের উপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে
পারে। এছাড়া অন্যত্র ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো
হাওয়া বয়ে যাওয়ার আভাস রয়েছে।
তাই নদীবন্দরগুলোকে সতর্কতা সংকেত দেখাতে
বলা হয়েছে। ঝড়ের আভাস থাকায় কোথাও দুই নম্বর, কোথাও এক নম্বর সতর্ক সংকেত
দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বুধবার (৫ মে) রাতে এ সতর্ক বার্তা দেওয়া
হয়েছে। এতে বলা হয়েছে রাজশাহী, পাবনা, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, ঢাকা,
কুমিল্লা এবং খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ পশ্চিম অথবা
উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ৬০ থেকে ৮০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে
পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা
হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকায় পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে
৪৫ থেকে ৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই
সেসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ
হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, বর্তমানে লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও
তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দণি
বঙ্গোপসাগরে।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (৬ মে) সন্ধ্যা নাগাদ রংপুর,
রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু
কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়াে হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিপ্তিভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ সময় সারাদেশে
দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় দণি-পশ্চিম
দণি দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিমি, যা অস্থায়ীভাবে
দমকায় ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমিতে ওঠে যেতে পারে।
শুক্রবার নাগাদ আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। তবে বর্ধিত পাঁচদিনে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
বুধবার
দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে মোংলায়, ১১ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ
তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাঙ্গামাটিতে, ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।