ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
চীনে বিচ্ছেদ কমেছে ৭০ শতাংশ
Published : Wednesday, 19 May, 2021 at 1:00 PM
চীনে বিচ্ছেদ কমেছে ৭০ শতাংশবিয়ে বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে চীনে এই বছরের শুরুতে বাধ্যতামূলকভাবে কুলিং-অফ পিরিয়ড বা ধৈর্য্য ধারণের সময়কাল চালু করা হয়েছে। আর এতে দেশটিতে বিচ্ছেদের পরিমাণ ৭০ শতাংশ কমে গেছে। চীনের সিভিল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের প্রকাশ করা তথ্যে দেখা গেছে, এই বছরের প্রথম তিন মাসে দুই লাখ ৯৬ হাজারটি বিচ্ছেদ নথিভুক্ত হয়েছে। গত বছরের শেষ তিন মাসে এই পরিমাণ ছিলো দশ লাখ ৬০ হাজার। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন’র প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ১ জানুয়ারি থেকে চীন প্রচলিত হওয়া নতুন সিভিল কোড অনুযায়ী কোনও দম্পত্তি বিচ্ছেদের আবেদন করতে গেলে তা উপস্থাপনের পর কমপক্ষে ৩০ দিন অপেক্ষা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যে কোনও পক্ষ তাদের আবেদন প্রত্যাহার করে নিতে পারবে। পরে ওই মাস শেষ হয়ে গেলে তারা আবার নতুন করে বিচ্ছেদের আবেদন করতে পারবে।

চীনের কয়েকটি অংশে স্থানীয় আইন হিসেবে আগে থেকেই প্রচলিত রয়েছে এই আইন। তবে সমালোচকেরা বলছেন, এই আইনের মাধ্যমে মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে খর্ব করা হচ্ছে আর মানুষকে অসুখী কিংবা সহিংস বৈবাহিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে বাধ্য করার ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। তবে এর সমর্থকদের দাবি এই আইন পারিবারিক স্থিতিশীলতা এবং সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখছে।

গত কয়েক বছর ধরে চীনে ক্রমাগত বেড়েছে বিচ্ছেদের সংখ্যা। সামাজিক বাধা কমে আসা এবং নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিতের কারণে দেশটির বিচ্ছেদের ৭০ শতাংশের বেশি আবেদন করে থাকেন নারীরা। আর এতেই সতর্ক হয়ে ওঠেন দেশটির কিছু নীতিনির্ধারক। এছাড়া জন্মহার কমে যাওয়ায় সন্তান নেওয়ায় উৎসাহ দেওয়ার নীতি গ্রহণ করেছে দেশটি।

চীনের সিভিল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা গত বছর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বিয়ে এবং সন্তান জন্মদানের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। বিয়ের হার কমে যাওয়া জন্ম হারে প্রভাব ফেলবে, আর তাতে অর্থনীতি এবং সামাজিক উন্নয়ন আক্রান্ত হবে।’

উল্লেখ্য, বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে কুলিং-অফ পিরিয়ড রাখা একমাত্র দেশ চীন নয়। ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যেও একই ধরনের বিধান রয়েছে। ফ্রান্সে বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে দুই সপ্তাহ এবং যুক্তরাজ্যে চার সপ্তাহ সময় দিয়ে পারস্পরিক সম্মতির জন্য অপেক্ষা করা হয়।