বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হাসপাতালে চিকিৎসার ২৩ দিন পার হচ্ছে বুধবার (১৯ মে)। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর গত ২৭ এপ্রিল শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা দেখা দিলে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার (১৯ মে) দুপুর পর্যন্ত সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর হচ্ছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা আগের মতো অপরিবর্তিত রয়েছে। কিছু জায়গায় উন্নতি হলেও পোস্ট-কোভিডজনিত সমস্যাগুলো এখনও রয়ে গেছে। বিকাল ৩ টায় এভারকেয়ার ও তার চিকিৎসকদের সম্মিলিত মেডিক্যাল বোর্ড খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন বলে জানা গেছে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসকদলের অন্যতম একজন সদস্য জানিয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমে অবহিত করবেন। এরবাইরে কাউকেই মিডিয়ায় বক্তব্য দেওয়ার অনুমতি নেই।
বিএনপির নানা পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসের কারণে তার হাত-পা ফুলে যাওয়া এবং ব্যথার যে সমস্যা ছিল সেগুলো এখনও রয়েছে তবে শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। তার হার্টের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকেরা এখনও উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছে একটি ঘনিষ্ঠসূত্র।
খালেদা জিয়ার পরিবারের ঘনিষ্ঠ, স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বুধবার দুপুরে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ম্যাডামের বিষয়ে আমাদের সেভাবে বলার সুযোগ নেই। তবে, এটা ঠিক, ম্যাডামের অবস্থা হচ্ছে, ‘নো নিউজ ইজ গুড নিউজ’।
প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট আসে খালেদা জিয়ার। ১৫ এপ্রিল সিটিস্ক্যান করান তিনি। পরে অক্সিজেনজনিত সমস্যা দেখা দিলে ২৭ এপ্রিল রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। ২৮ এপ্রিল ব্যক্তিগত ও এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকদের সমন্বয়ে ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। ৩ মে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিলে সেদিন বিকালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয় খালেদা জিয়াকে। পরে খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিতে ৫ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে লিখিত চিঠি দেন তার ভাই শামীম এস্কান্দার। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ মে খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষা নেগেটিভ আসে।