কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ (বাজেট) অধিবেশন শুরু হয়েছে। বুধবার (২ জুন) বিকেল ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা উপস্থিত রয়েছেন। তবে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ অধিবেশনে যোগ দেননি।
দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বেড়েছে। শনাক্ত হয়েছে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টও (ধরন)। করোনার এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মাথায় রেখে বাজেট অধিবেশন উপলক্ষে ৫৬টি প্রস্তুতি নিয়েছে সংসদ সচিবালয়।
প্রস্তুতির মধ্যে রয়েছে—এমপি-মন্ত্রীদের তিন দিন পরপর করোনা টেস্ট করা, অধিবেশন সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকসহ সবার করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক করা এবং যারা অধিবেশন কক্ষে থাকবেন, তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা।
এছাড়া সংসদ অধিবেশন শুরুর দিন থেকে শেষদিন পর্যন্ত সংসদ চত্ত্বরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তব্যরত সদস্য ব্যতীত অন্য কেউ আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, ছুরি বা চাকু অথবা এমন কিছু, যা মানুষের জীবননাশের কারণ হতে পারে, তা বহন করতে পারবেন না। সবাইকে পরতে হবে দু’টি করে মাস্ক।
অধিবেশনে ১০০-১২০ জন এমপিকে উপস্থিত রাখার পরিকল্পনা করেছে সংসদ। আর তালিকাভুক্ত ৪৬ জন সাংবাদিক এবার বাজেট অধিবেশনে উপস্থিত থেকে সংবাদ সংগ্রহের সুযোগ পেয়েছেন। তবে গণমাধ্যমকর্মীরা সাংবাদিক লাউঞ্জ ছাড়া অন্য কোথাও ঘোরাঘুরি করতে বা যেতে পারবেন না।
১২ কার্যদিবসে যা থাকছে২ জুন বুধবার, ৩ জুন বৃহস্পতিবার, ৬ জুন রোববার, ৭ জুন সোমবার, এরপর বিরতি দিয়ে ১৪, ১৫, ১৬, ১৭ সোম থেকে বৃহস্পতিবার, ২৮, ২৯, ৩০ সোমবার থেকে বুধবার এবং ১ জুলাই বৃহস্পতিবার সংসদের বৈঠক বসবে।
২ জুন বিকেল ৫টায় অধিবেশন শুরু হওয়ার পর শোকপ্রস্তাব, আলোচনাও গ্রহণ করা হবে। এরপর সংসদ মুলতবি হবে। পরদিন বিকেল ৩টায় বাজেট উত্থাপন ও অর্থ বিল উত্থাপন। এরপর থেকে প্রতিদিনের কার্যদিবস বেলা ১১টায় শুরু হবে।
৬ জুন রোববার কমিটির বিল সম্পর্কিত রিপোর্ট উত্থাপন (যদি থাকে), চারটি বিল উত্থাপন এবং সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনা হবে। ৭ জুন সোমবার সম্পূরক বাজেটের আলোচনা ও পাস এবং নির্দিষ্টকরণ সম্পূরক বিল পাস হবে।
এরপর ১৪, ১৫, ১৬, ১৬ ও ২৮ জুন মূল বাজেটের ওপর আলোচনা হবে। ২৯ জুন মূল বাজেটের সমাপনী আলোচনা এবং অর্থবিল পাস, ৩০ জুন বুধবার মূল বাজেট পাস ও নির্দিষ্টকরণ বিল পাস, ১ জুলাই বৃহস্পতিবার প্রশ্নোত্তরপর্ব, বেসরকারি বিল উত্থাপন, সরকারি বিল পাস এবং অধিবেশন সমাপ্তি হবে। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তৃতা করবেন। বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারাও বক্তৃতা করবেন।
জানা যায়, বাজেট পেশের আগে ওইদিন দুপুর ১২টায় সংসদে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রিসভার পর অর্থ বিলে স্বাক্ষর করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ কারণে রাষ্ট্রপতি সেদিন তার সংসদ ভবন কার্যালয়ে অবস্থান করবেন। এরপর বেলা ৩টায় অধিবেশন শুরু হবে।