কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আবারো কিশোর গ্যাংদের হাতে স্কুলছাত্র প্রবাল (১৮) খুন হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সরদার মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের পেছনে একটি মোটর গ্যারেজে খুনের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাউন্সিলর শিমুলকে আটক করেছে পুলিশ।
অভিযোগ রয়েছে, এলাকার সন্ত্রাসী ও বিভিন্ন ঘটনায় অভিযুক্ত অপরাধী কিশোর গ্যাং লিডার অন্তর তার সহকর্মীদের নিয়ে প্রবালকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। নিহত ছাত্র ইউপি চেয়ারম্যান ও মাতৃকা হাসপাতালের মালিক হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে। পুলিশ রাত ১০টার পর লাশটি উদ্ধার করে বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ পাঠিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকালে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কিশোর গ্যাংদের মধ্য ঝগড়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই অপরাধীরা পালিয়ে যায়। এরপর লোকমুখে খবর ছড়িয়ে পড়ে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জিল্লুর রহমানের ছেলে অন্তর (২৫) রক্তমাখা কাপড় নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে গেছে। তার সঙ্গে আরও দুইজন কিশোর ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানান।
পরে পুলিশ রাত সাড়ে ৮টার দিকে আবারো ঘটনাস্থলে এসে শাকিল মোটরসের দোকানটির তালা ভেঙে প্রবেশ করে দেখতে পান প্রবালের লাশ রুমের দেয়াল ঘেঁষে পড়ে আছে।
লাশের সঙ্গে একটি খালি বস্তাও পায় পুলিশ। তবে ধারণা করা হচ্ছে, হত্যাকারীরা লাশটি গুম করতে বস্তা এনেছিল। গুম করতে না পেরে হত্যাকারীরা শরীরে রক্তমাখা কাপড়ে মানুষের সামনে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা রাত পৌনে ৯টায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশ শনাক্ত করেন।
নিহত প্রবালের ভাই শৈবাল বলেন, আমার ছোটভাই এসএসসি পাস করে কলেজে ভর্তির অপেক্ষায় ছিল। সে আজ বিকালে বাসা থেকে বের হওয়ার পর আর ফেরেনি। পরে ঘটনার খবর পাই।
ভৈরব থানার ওসি মো. শাহিন জানান, মঙ্গলবার প্রবাল হত্যার ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে এলাকার কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম শিমুলের মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের দোকানের পেছনে ঘটনাটি ঘটে। এ কারণে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাউন্সিলর শিমুলকে আটক করা হয়।