তানভীর দিপু: কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও ও হাউজিং এলাকা থেকে বিকাশ প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে তিন জনের নামে মামলা দায়ের শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটকরা হলেন, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শাহদারা গ্রামের মৃত কাসিম উদ্দিনের ছেলে মো. মুসলিম আলী মোস্তফা (৪২), তার স্ত্রী নাজনিন আরা নাজমা (৩৫) ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পবহাটি গ্রামের কাজী সাজ্জাদের ছেলে কাজী পলাশ (২২)।
কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী কুমিল্লার কাগজকে জানান, রোববার (৬ জুন) সন্ধ্যায় নগরীর বাড়িচাগাঁও এলাকায় একটি বিকাশ দোকান থেকে নম্বর সংগ্রহ করে হ্যাকারদের সরবরহ করার সময় স্থানীয়রা কাজী পলাশকে আটক করে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
জানা গেছে, অনার্স পাসের পর অধিক লাভের আশায় কাজী পলাশ বিকাশ প্রতারণা চক্রের সাথে যোগ দেন। সে বিভিন্ন বিকাশ দোকান থেকে গোপনে গ্রাহকদের নম্বর সংগ্রহ করে অন্য সহযোগীদের পাঠিয়ে দিতেন। পরে হ্যাকিং এর মাধ্যমে তারা বিকাশ একাউন্ট থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে।
অপর দিকে, গত বৃহস্পতিবার (৩ জুন) কুমিল্লা হাউজিং গোল মার্কেট এলাকায় রাকিব স্টেশনারী নামে একটি বিকাশ দোকান থেকে মোস্তফা ও স্ত্রী নাজমার পার্সোনাল বিকাশ নম্বরে ২৫ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ৫১ হাজার টাকা লোড করেন। ওই টাকা মুহুর্তের মধ্যে অন্য নম্বরে টান্সফার করে ম্যাসেজ ডিলেট করে দেন তারা। পরে দোকানের মালিক ইমাম হোসেন টাকা চাইলে তারা বলেন আমাদের নাম্বারে টাকা আসেনি। এ ঘটনায় দোকানের মালিক কোতয়ালী থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা করলে সোমবার (৭ জুন) সকালে হাউজিং এলাকা থেকে তাদের দুইজনকে আটক করা হয়।
ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী আরো জানান, অভিনব কায়দায় তারা বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। পৃথক দুটি ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের শেষে বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।