৮ বছর পর জিম্বাবুয়ে সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। জুন-জুলাইয়ের সফরে একটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও চারটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা স্বাগতিকদের বিপক্ষে। এই সফরে সিনিয়র ক্রিকেটারদের কয়েকজনের ছুটি নেওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে ছুটির বিষয়ে একমাত্র মুশফিকুর রহিমই বিসিবিকে জানিয়েছেন।
জিম্বাবুয়েতে টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটে খেললেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবেন না বলে ইতিমধ্যে নির্বাচকদের জানিয়েছেন মুশফিক। এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের ছুটি চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
দুই দিন আগেই নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছিলেন, সিনিয়র ক্রিকেটাররা চাইলে আলোচনা সাপেক্ষে তাদের বিশ্রাম দেওয়া হবে। তবে আজ (সোমবার) জানা গেলো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিককে বিশ্রাম দিচ্ছে বিসিবি। মূলত লম্বা সময় জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার কারণে ক্লান্তি চলে এসেছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। সামনে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ব্যস্ত সূচি। যে কারণে ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়ার পক্ষে প্রধান নির্বাচক। যদিও ছুটির বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেননি তারা।
নান্নু বলেছেন, ‘জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচি। করোনার কারণে ক্রিকেটারদের বায়ো বাবলে থাকতে হচ্ছে। যার কারণে তাদের মাঝে ক্লান্তি বিরাজ করছে। যেহেতু সামনে অনেক খেলা রয়েছে, ওই কারণে হয়তো মুশফিক এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ (সোমবার) আমাকে ফোন করে টি-টোয়েন্টি না খেলার কথা জানিয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে ক্রিকেটাদের যেকোনও সিদ্ধান্তকে আমরা শ্রদ্ধা করি।’
মুশফিকের ছুটি মঞ্জুর করা হবে কিনা, এমন প্রশ্নে প্রধান নির্বাচক বলেছেন, ‘এটা আলোচনা করে ঠিক করতে হবে। আগেই বলেছি ক্রিকেটারদের সব সিদ্ধান্তকে আমরা শ্রদ্ধা জানাই।’
এখনও সূচি চূড়ান্ত না হলেও বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ দল ২৯ জুন জিম্বাবুয়ের উদ্দেশে যাত্রা করবে। ৩ ও ৪ জুলাই দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে সফরকারীরা। আর দুই দলের আসল লড়াই শুরু হবে ৭ জুলাই একমাত্র টেস্ট দিয়ে।
এরপর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হবে ১৬, ১৮ ও ২০ জুলাই। সব ম্যাচই হবে হারারেতে। একই ভেন্যুতে ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ জুলাই চারটি টি-টোয়েন্টি খেলে সফর শেষ করবে বাংলাদেশ।