কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিয়েবাড়িতে মাংস নষ্ট করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর ও কনেপক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে দু’পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (৭ জুন) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় ভাঙচুর করা হয় বিয়ের প্যান্ডেলসহ আসবাবপত্র।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় দেড় মাস আগে জামালপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে চুমকির সঙ্গে গাংনী উপজেলার শহিদুলের ছেলে জনির বিয়ে হয়। সোমবার ছেলেপক্ষের লোকজন মেয়ের বাড়িতে আসে বউকে নিয়ে যেতে। দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার সময় বরেরপক্ষের লোকজনের অতিরিক্ত মাংস নষ্ট করার ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত সাতজন আহত হন। গুরুতর আহতদের বরের গাড়িতে করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান জানান, দুপুরের দিকে গোলামের বাড়িতে বর ও কনেপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ইউপি সদস্য (মেম্বার) আসলাম হোসেন বলেন, গোলাম মোস্তফার বাড়ির বিয়ের অনুষ্ঠানে তারও দাওয়াত ছিল। যখন ঘটনা ঘটে তখন তিনি খাচ্ছিলেন। বড়পক্ষ এবং কনেপক্ষের খাবারের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়। তিনি কনেপক্ষের নির্ধারিত স্থানে খাচ্ছিলেন। এমন সময় বরপক্ষের লোকজন খাবার সময় অতিরিক্ত মাংস নষ্ট করলে দুই পক্ষের এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।