ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
আবাহনীকে হারিয়ে খেলাঘরের চমক
Published : Tuesday, 8 June, 2021 at 12:00 AM
আবাহনী লিমিটেডের জন্য লক্ষ্যটা ছিল অনেক বড়। দলের সেরা তারকা ও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ওপর ছিল অনেক বড় দায়িত্ব। কিন্তু খেলাঘরের বোলাররা তাকে শুরুতে আটকে দিলে পথ হারায় আবাহনী। তাতে ঢাকা লিগে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পায় শিরোপা প্রত্যাশিরা। অন্যদিকে আবাহনীকে চমকে দিয়ে খেলাঘর পায় দ্বিতীয় জয়ের দেখা।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে ইমতিয়াজ হোসেন তান্নার ৬৬ রানে খেলাঘর ৬ উইকেটে ১৬৪ রান তোলে। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানের বেশি করতে পারেনি আবাহনী। ৮ রানে জয় পায় খেলাঘর।
শক্তির বিচারে আবাহনীর থেকে অনেক পিছিয়ে খেলাঘর। আবাহনী যেখানে জাতীয় দলের একাধিক খেলোয়াড়কে দলে ভিড়িয়েছে সেখানে খেলাঘরের স্কোয়াডে তারুণের জয়গান। জাতীয় দলের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সঙ্গে অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম অমি ও ইমতিয়াজ হোসেন তান্না।
আবাহনীকে হারানোর দিনে জয়ের নায়ক ইমতিয়াজ। ৪৬ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৬ রান করেন ডানহাতি ওপেনার। তিনে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজ ২৫ বলে ৩৩ রান করেন ৪ চার ও ১ ছক্কায়। এছাড়া রাফান আল মাহমুদ ১৮ ও সালমান হোসেন ১৩ রান করে অবদান রাখেন।

বল হাতে আবাহনীর হয়ে ২টি করে উইকেট নেন আরাফাত সানী ও মোসাদ্দেক হোসেন। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন সাইফ উদ্দিন ও তানজিম হাসান।
লক্ষ্য তাড়ায় আবাহনী ১২ রানে হারায় ২ উইকেট। ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরে ফেরেন রনি চৌধুরীর বলে। ডানহাতি এ অফস্পিনারকে এক চার মেরে রানের খাতা খুলেছিলেন মুশফিক। কিন্তু তার ওপর আগ্রাসন দেখাতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন। অফস্পিনারকে সুইপ করতে গিয়ে বল মিস করে বোল্ড হন ৫ বলে ৮ রান করা মুশফিক।
তৃতীয় উইকেটে শান্ত ও নাঈম ৮৫ রানের জুটি গড়েন। পরবর্তীতে দুজনই হাফ সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে থাকতে সাজঘরে ফেরেন। শান্তকে ফেরান রাফসান আল মাহমুদ। নাঈমকে বোল্ড করেন খালেদ আহমেদ।
শেষ ২ ওভারে ২৫ রান দরকার ছিল আবাহনীর। কিন্তু নোমান চৌধুরী ও খালেদ আহমেদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মোসাদ্দেক ও আফিফ কিছুই করতে পারেননি। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়া মোসাদ্দেক করেন ২১ রান। আফিফের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান।  
খেলাঘরের হয়ে ২টি করে উইকেট পেয়েছেন রনি চৌধুরী ও খালেদ আহমেদ।