ভূমিকম্পে আবারও কাঁপল সিলেট
Published : Tuesday, 8 June, 2021 at 12:00 AM
নয়
দিন আগের ভূমিকম্পের পর আতঙ্কের মধ্যে আবার দুই দফা ভূকম্পন কাঁপিয়েছে
সিলেটকে। সোমবার সন্ধ্যায় ভূমিকম্পের সময় নগরজুড়ে আতঙ্ক দেখা দেয়। বাসা ও
অফিসে থাকা মানুষজন ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো
ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
সন্ধ্যা ৬টা ২৭ এবং ৬টা ২৯ মিনিটে ভূকম্পন অনুভূত হয় বলে জানিয়েছেন সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী।
তিনি
বলেন, এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ১৮৮ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে,
যা সিলেট অঞ্চলে পড়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো ৩ দশমিক ৮।
দেশে ‘বিপজ্জনক ভূকম্পনের’ যে দুটি উৎস রয়েছে, তার একটি সিলেট অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠের গভীরে ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাউকি ‘ফল্ট’।
সেখানেই এর আগে গত ২৯ মে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টার মধ্যে অন্তত চারবার ভূকম্পন হয়েছিল। পরদিন ভোরে আবার ভূমিকম্প হয়।
২৯
মে ভূমিকম্পের পর থেকেই সিলেটজুড়ে ভূমিকম্প আতঙ্ক বিরাজ করছে। ওই দিন
ভূমিকম্পের পর সিলেটের ছয়টি মার্কেটসহ ২৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বন্ধ করে
দিয়েছিল সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
ঢাকায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প
পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ মমিনুল ইসলাম বলেন, “সিলেট অঞ্চল ভূমিকম্প
ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ সিলেট থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরে ডাউকি ফল্টের অবস্থান।
এই ফল্টলাইনগুলো ভূমিকম্পপ্রবণ।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত আর্থ
অবজারভেটরির পরিচালক ভূতত্ত্ববিদ অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন,
বাংলাদেশে বিপজ্জনক ভূকম্পনের প্রধান উৎস দুটি। এর একটি হল ৩০০ কিলোমিটার
দীর্ঘ ডাউকি ফল্ট। অন্যটি টেকনাফ-পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি অঞ্চল সাবডাকশন
জোন।
পৃথিবীর পৃষ্ঠের উপরিভাগের ৭০-১০০ কিলোমিটার পুরুত্বের
লিথোস্ফিয়ার ছোট-বড় ১৩টি খ-ে (প্লেটে) বিভক্ত। উত্তপ্ত ও নরম
এস্থোনোস্ফিয়ারের ওপর ভাসমান এ প্লেটগুলো গতিশীল।
প্লেটগুলো গতিশীল
থাকায় ভূখ- ধীরে ধীরে সরতে থাকে, যেটাকে অ্যাকটিভ ফল্ট বা সক্রিয় চ্যুতি
বলা হয়। প্লেটের স্থানচ্যুতির সময় জমে থাকা শক্তি বিপুল বেরিয়ে আসে, তখন
সংযোগস্থলে ভূকম্পন হয়।