ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
মহারাষ্ট্রে আবারও লকডাউন
Published : Saturday, 26 June, 2021 at 1:10 PM
মহারাষ্ট্রে আবারও লকডাউনকরোনাভাইরাসের নতুন ধরন ডেল্টা প্লাস ছড়াতে শুরু করায় ভারতের সবচেয়ে ধনী রাজ্য মহারাষ্ট্রে আবারও লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে শপিংমল ও সিনেমা হল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
এর আগে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ কিছুটা কমতে শুরু করায় বিধিনিষেধ শিথিল করতে শুরু করেছিল মহারাষ্ট্র সরকার।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রে কমপক্ষে ২০ জনের দেহে নতুন ডেল্টা প্লাস ধরনের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই অতি সংক্রামক ধরনটিকে উদ্বেগজনক হিসেবে ঘোষণা করে ভারত।

নতুন ধরনটি ঠিক কোথায় প্রথম উদ্ভব হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত না হওয়া গেলেও, ১১ জুনের বুলেটিনে পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডে প্রথম এই ডেল্টা প্লাস ধরন শনাক্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করে। তারা জানায়, এটা গত বছর ভারতে শনাক্ত হওয়া ডেল্টা ধরনটিরই একটি উপধারা।

ডেল্টা ধরনের কারণে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।

বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, দ্বিতীয় ঢেউয়ের কবল থেকে না বেরোতেই ডেল্টা প্লাস ধরনের কারণে সংক্রমণের আরেকটি ঢেউয়ের মধ্যে পড়তে পারে ভারত।

মহারাষ্ট্র সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, এক সপ্তাহ আগেও শনাক্তের হার ও দৈনিক সংক্রমণ ধারাবাহিকভাবেই কমে আসছিল, কিন্তু কিছু অঞ্চলে আবার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।

তিনি বলেন, “আমরা জানি না এটা বিধিনিষেধ শিথিল করার কারণে, নাকি নতুন ধরনটির কারণে বাড়ছে, তবে এটা উদ্বেগজনক।”

কমপক্ষে আরও ১১টি দেশে ডেল্টা প্লাস ধরনের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে।

নতুন ধরনটি ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ, যেহেতু সেখানে অর্ধেকেরও বেশি মানুষ এখনও টিকা পায়নি। ভারতের টিকা পাওয়ার যোগ্য ৯৫ কোটি জনসংখ্যার মাত্র ৫ দশমিক ৬ শতাংশ পুরোপুরি দুই ডোজ টিকা পেয়েছে।

সেদেশে এখন পর্যন্ত ৪৮ জনের দেহে ডেল্টা প্লাস ধরনটির উপস্থিতি পাওয়া গেছে এবং বিদ্যমান টিকা নতুন ধরনটির ওপর কার্যকর কিনা তা নিয়ে পরীক্ষা চলছে।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের প্রধান বলরাম ভার্গভ বলেন, “ডেল্টা প্লাস ধরনটির বিরুদ্ধে টিকা কাজ করছে কিনা সে বিষয়ে সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে আমাদের হাতে পরীক্ষার ফল আসা উচিত।”

মহারাষ্ট্রের ১২ কোটি ৬০ লাখ জনগোষ্ঠীর মাত্র তিন কোটি এক ডোজ টিকা পেয়েছে।