খুলনার দুটি হাসপাতালে শনিবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৯ জন করোনা রোগী মারা গেছেন। এর মধ্যে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে সাত জন এবং বেসরকারি গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুই জন রয়েছেন। খুলনা জেনারেল হাসপাতাল করোনা ইউনিটে এ সময়ে কোনও মৃত্যু হয়নি। এ তিন হাসপাতালে ২১৬ জন করোনা পজিটিভ রোগী ভর্তি রয়েছেন।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল করোনা ইউনিট মুখপাত্র ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, ২৬ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত এখানে ১৫৬ জন ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে রেড জোনে ৯১ জন, ইয়োলো জোনে ২৬ জন, এইচডিইউতে ২০ জন ও আইসিইউতে ১৯ জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি হয়েছেন ৪২ জন আর ছাড়পত্র নিয়েছেন ৪১ জন। মারা গেছেন সাত জন।
গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, সেখানে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ৯৪ জন ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৪ জন আর ছাড়পত্র নিয়েছেন আট জন। মারা যাওয়া দুজন হলেন– যশোরের কেশবপুরের ভরতভায়নার জিয়াউর রহমান (৪২) এবং মনিরামপুরের রাজ গনি গ্রামের ইসাহাক সানা (৮০)।
খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, ২৬ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে নতুন ভর্তি হন পাঁচ জন। ছাড়পত্র নেন আট জন। কেউ মারা যাননি। বর্তমানে ভর্তি রোগী ৬৬। পুরুষ ৩০ ও নারী ৩৬ জন।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজের (খুমেক) পিসিআর ল্যাবে ২১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৭.৯০ শতাংশ। এর আগে বৃহস্পতিবার খুমেক ল্যাবে শনাক্তের হার ছিলো ৫১.৫৫ শতাংশ, বুধবার ছিলো ৩৪ শতাংশ, মঙ্গলবার ছিলো ৪০ শতাংশ, আর সোমবার ছিলো ৩১ শতাংশ।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা: মেহেদী নেওয়াজ জানান, খুমেকের পিসিআর মেশিনে বৃহস্পতিবার রাতে মোট ৫৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২১০ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনার ৪২৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৭৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া বাগেরহাটে ২৫ জন, যশোরে ৭ জন, সাতক্ষীরায় ১ জন, নড়াইলে ২ জন ও পিরোজপুরের ১ জন রয়েছেন।