একটা সময় ছিল খেলোয়াড়রা খেলতে গিয়ে অবসর সময়টা নিজেদের মতো করে ঘুরে বেড়াতেন। কিন্তু করোনাকালে সেই সুযোগ হারিয়েছেন খেলোয়াড় ও দলগুলো। এখন জৈব সুরক্ষা বলয় ঠিক রাখতে টিম হোটেলেই ‘গৃহবন্দি’ হয়ে কাটাতে হয়। লম্বা সময় ধরে এভাবে থাকাটা শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে ক্লান্তিকর। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দলগুলোর বিকল্প খেলোয়াড়ের আধিক্য থাকায় তারা চাইলেই যে কাউকে বিশ্রাম দিতে পারছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটি সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। তবে এই সমস্যা কাটাতে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আলাদা টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট দল গঠন করার ভাবনা তার বোর্ডের।
শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে টানা জৈব সুরক্ষা বলয়ে ক্রিকেটাররা। টেস্ট সিরিজ খেলে আসার কয়েক দিনের মধ্যেই লঙ্কানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে ঢুকে যেতে হয় বলয়ে। এরপর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে হোটেলবন্দি হয়ে থাকতে হয়েছে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের। একদিন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে সোমবার সকালেই আবার জিম্বাবুয়ের উদ্দেশে উড়াল দেবেন ক্রিকেটার। সেখানে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন করতে না হলেও পুরো একমাস ‘মাঠ টু হোটেল’ হবে ক্রিকেটারদের ঠিকানা।
এমন অবস্থায় মাঠে সেরাটা দেওয়াটা নিশ্চিতভাবেই কঠিন। তাহলে রোটেশন পদ্ধতি নিয়ে বিসিবি কি কিছু ভাবছে? শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বোর্ড সভাপতি নাজমুল বলেছেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে রোটেশন চালু করা আমাদের জন্য বেশ কঠিন। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও নিউজিল্যান্ডের লেভেলে যেতে হলে আমাদের আলাদা আলাদা দল লাগবেই। টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড আর টেস্ট স্কোয়াড এক হতে পারে না। ওদের কোনও সমস্যা হয় না, কারণ ওদের দল আলাদা। অনেক খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিতে পারে ‘
সঙ্গে যোগ করলেন, ‘আমাদের মূল খেলোয়াড়রা তিন ফরম্যাটেই থাকে, যার কারণে তাদের ওপর অবশ্যই চাপ পড়ে। এ মুহূর্তে এটা বদলানো কঠিন। তবে আমি মনে করি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর আমরা এটা করতে পারবো।’
বিসিবি সভাপতি মনে করেন, পরের ধাপে উন্নতি করতে হলে আলাদা দল গঠনের বিকল্প নেই, ‘আমাদের আলাদা আলাদা দল গঠন করতে হবে, উন্নতি করতে হলে এর বিকল্প নেই। যেমন ধরুন, পাকিস্তান বাংলাদেশে খেলতে আসবে বিশ্বকাপের পর, তখন নিউজিল্যান্ড সফর। দুই দল তো লাগবেই। কোয়ারেন্টিন আছে, আগে চলে যেতে হবে। তাহলে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলবে কে? বিশ্বকাপের পর আমরা রোটেশন পলিসি শুরু করবো। চেষ্টা করবো আলাদা আলাদা দল গঠনের।’