সেমি-ফাইনালের আগ পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বেশি গোল, সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট লিওনেল মেসির। সর্বোচ্চ গোল স্কোরারের পুরস্কার, সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি, সবকিছুই ডাকছে তাকে। তবে ব্যক্তিগত সাফল্যের স্রোতে একটুও গা ভাসিয়ে দিচ্ছেন না মেসি। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের লক্ষ্য একটিই, দেশের হয়ে অধরা ট্রফি জয়। লক্ষ্য পূরণের পথে আর্জেন্টিনা আরেক ধাপ এগিয়ে যেতে পেরেছে মেসির সৌজন্যেই। কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার-ফাইনালে একুয়েডরের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ে তিনিই নায়ক।
প্রথমার্ধে যদিও সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন মেসি। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে একা পেয়ে বল লাগান পোস্টে। তবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পরে পুষিয়ে দেন ঠিকই। দলের প্রথম দুই গোলই তার পাস থেকে। ম্যাচের শেষ সময়ে নিজেও জালের ঠিকানা খুঁজে নেন দুর্দান্ত ফ্রি কিকে।
এবারের আসরে পাঁচ ম্যাচে চারবার ম্যাচ সেরার ট্রফি উঠল তার হাতে। ৪টি করে গোল ও অ্যাসিস্ট করে এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টে দুটিতেই তিনি শীর্ষে।
কোপা আমেরিকায় সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি তিনি আগেও জিতেছেন। গোল্ডেন বল জিতেছেন এমনকি বিশ্বকাপেও। হাহাকার কেবল দলীয় ট্রফির জন্য। ব্যক্তিগত অর্জন যে তার কাছে মুখ্য নয়, আবার জানিয়ে দিলেন একুয়েডরকে হারানোর পর।
“সবসময় বলে বলেছি, ব্যক্তিগত পুরস্কার আমার কাছে গৌণ। আমরা এখানে এসেছি ভিন্ন কিছুর জন্য। আমাদের একটি লক্ষ্য আছে এবং আমাদের মনোযোগ পুরোপুরি সেদিকেই।”
১৯৯৩ সালের পর থেকে বড় কোনো ট্রফি জয়ের স্বাদ পায়নি আর্জেন্টিনা। মেসিদের মনোযোগ কোনদিকে, তা বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা নয় কারও।
একুয়েডরের বিপক্ষে জয়ে স্কোরলাইন যা বলছে, ম্যাচটি এতটা সহজ ছিল না। উজ্জীবিত একুয়েডর প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়লেও বেশ চাপে রেখেছিল আর্জেন্টিনাকে। শেষ দিকের দুই গোলে বাড়ে ম্যাচের ব্যবধান।
জয়ের পর তাই মেসির কণ্ঠে ছিল স্বস্তি।
“ কঠিন ম্যাচ ছিল এটি। আমরা জানি, যে কোনো প্রতিপক্ষই কতটা কঠিন হয়ে উঠতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, আমরা আরেক ধাপ সামনে এগিয়েছি।”
সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ৭টায় কলম্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবেন মেসিরা।