কুমিল্লার চান্দিনায় সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে এবং আবাসিক এলাকার পানি নিস্কাশনের ড্রেন বন্ধ করে ঘর নির্মাণ করছে স্থানীয় এক ব্যক্তি। চান্দিনা উপজেলা পরিষদের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষা ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন চান্দিনা ধানসিঁড়ি আবাসিক এলাকায় প্রায় ৩ শতাংশ সরকারি ভূমিতে ওই টিনসেট ঘর নির্মাণ করছে সেলিম সরকার নামের ওই ব্যক্তি।
এতে একদিকে সরকারি ভূমি বেদখল হচ্ছে অপরদিকে ড্রেন বন্ধ করে দেওয়ায় উপজেলা পরিষদ ও আবাসিক এলাকার পানি নিস্কাশনে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়- ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে রূপান্তরের সময় ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। ওই সময় উপজেলা পরিষদের সীমানা প্রাচীর ও ইউএনও’র বাস ভবনও ভাঙ্গা পড়ে। তার পাশেই সেলিম সরকারের ৩শতাংশ জায়গাসহ দ্বিতল ভবনের কিছু অংশ অধিগ্রহণ ও ভর্তুকি দিয়ে ভেঙ্গে দেওয়া হয়। চার লেন মহাসড়ক বাস্তবায়নের কাজ শেষ হওয়ার প্রায় পাঁচ বছর পর সরকারি অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তিতে পুনরায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করার জন্য ঘর নির্মাণ করছেন সেলিম সরকার।
স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হোসেন লিটন জানান- ঘর নির্মাণের পাশাপাশি মহাসড়কের পাশের ড্রেনটি বালু দিয়ে ভরাট করায় ধানসিঁড়ি আবাসিক এলাকাসহ উপজেলা পরিষদের পার্ক ও ডরমেটরিতে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঘর নির্মাণকারী সেলিম সরকার জানান- ‘এখন যেখানে ঘর তুলছি তার অর্ধেক সরকারি এবং বাকি অর্ধেক আমার জায়গা’। তাহলে আপনার দ্বিতল ভবন ভাঙ্গল কেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন- ‘তারা (চার লেন নির্মাণ প্রকল্প) না বুঝে ভেঙ্গে দিয়েছে’।
কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজা-ই রাব্বি জানান- মহাসড়কের পাশে আমাদের অধিগ্রহণকৃত ভূমি যারা দখল করে আছে লকডাউনের পর আমরা খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
চান্দিনা পৌর মেয়র মো. শওকত হোসেন ভূইয়া জানান- স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুন নাহার জানান- আমিও ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাজ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।