মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে ৭দিনের কঠোর লকডাউন বাড়িয়ে ১৪ দিন করা হয়েছে। সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরেও কঠোর অবস্থানে রয়েছে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে চাঁদপুরে পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি মাঠে রয়েছে বিজেবি ও সেনাবাহিনী। লকডাউন শুরুর প্রথম দিন থেকেই সেনাবাহিনী ও বিজেবির সদস্যরা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছেন। এছাড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করছে প্রতিনিয়ত।চাঁদপুর শহর এলাকায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি সেনা বাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করছে। এতে শহর এলাকায় জন সাধারন সচেতন হলে ও আশপাশের গ্রামাঞ্চলের মানুষেক কাছে যেন করোনা বলতে কিছুই নেই।
গত ১ জুলাই থেকে সরকার দেশ ব্যাপী প্রথমে ৭ দিনেলকঠোর লকডাউন ঘোষণা করে। করোনার আক্রান্ত আর মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় সরকার লকডাউন আরো ৭ দিন বৃদ্ধি করেছে। চাঁদপুর শহরে জেলা প্রশাসন ও আইন শৃন্খলা বাহিনী কঠোর অবস্হানে থাকার কারণে জনগন সচেতন হয়েছে। কিন্তু চাঁদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলে এমন কি চরাঞ্চলের মানুষের কাছে করোনা বলতে যেন কিছুই নেই। তারা ঠান্ডা, জ্বর রোগে আক্রান্ত হলেও চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেনা। তারা নিজ এলাকার চায়ের দোকানে বসে সকাল থেকে জরো হয়ে আড্ডায় মেতে উঠতে দেখা যাচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তারা আড্ডা দিচ্ছে। জেলা প্রশাসন যদি এসব গ্রামাঞ্চলে ও চরাঞ্চলে নজরদারি দেয়া প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করে।
এ দিকে পুলিশের পক্ষ থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্হান গুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে কঠোর নজরদারী করছে। ফলে ব্যস্ততম রাস্তাগুলোতে অটোরিকশা, রিক্সা, মোটরসাইকেল আর পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া তেমন কোন যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, রিক্সা অটোরিকশা দেখলেই তা থামিয়ে যাত্রীদের ঘর থেকে বের হওয়ার কারন জানার চেস্টা করছে।