দেবীদ্বারে গোমতী নদীর ভেরীবাঁধ সংলগ্ন ডোবা থেকে ১৫ বছর বয়সী নেশার কারনে মানষিক ভারসাম্যহীন প্রতিবন্ধী জামসেদ আলম নামে এক কিশোরের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের কনু মেম্বারের বাড়ির পাশে গোমতী নদীর ভেরীবাঁধ সংলগ্ন ঝোপঝারে বেষ্টিত একটি ডোবায়।
নিহত জামসেদ দেবীদ্বার পৌর এলাকার ছোট আলমপুর গ্রামের রিক্সা মেইকার আবুল হাসেম’র ছেলে। জামসেদ নিজেও অটোরিক্সা চালক এবং বেসামাল মাদকাসক্ত হওয়ার কারনে সে অসুস্থ্য হয়ে মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। গত তিনদিন পূর্বে অটোরিক্সা এক্সিডেন্টে তার বাম হাত ভেঙ্গে যায়।
বুধবার সকালে স্থানীয় কৃষক আঃ আলিম গরুর জন্য ঘাস কাটতে যেয়ে ওই মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। সংবাদ পেয়ে দেবীদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এস,আই) ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিবনগর গ্রামের এক কৃষক জানান, যে নির্জন জায়গাটিতে তার মরদেহ পাওয়া গেছে, তার পাশের বাড়িটি জামসেদের বড় ভাই সুজনে শ^শুরবাড়ি। প্রায়ই জামসেদ দলবল নিয়ে ওখানেই মাদক সেবন করত। অতিরিক্ত মাদক সেবন অথবা বন্ধুদের সাথে দ্বন্দ্বের কারনে তার মৃত্যু হতে পারে।
নিহতের পিতা- মাতা সন্তান হারিয়ে বাকরুদ্ধ থাকায় কোন কথা বলা যায়নি, তবে তার চাচা আবুল হাসেম বলেন, সে দুষ্ট প্রকৃতির এবং নেশাগ্রস্থ ছিল। গত রোববার অটোরিক্সা এক্সিডেন্টে তার বাম হাত ভেঙ্গে যায়। চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি আনার পর সে নিখোঁজ ছিল।
দেবীদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এস,আই) ফারুক আহমেদ জানান, গোমতী নদীর ভেরীবাঁধ সংলব্ন ডোবা থেকে উদ্ধার হওয়া কিশোরের মরদেহ তার পিতা-মাতা সনাক্ত করেছেন। মানষিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তাকে ঘরে রাখা যেতনা, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে, এ ব্যাপারে থানায় ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত অব্যাহত আছে।