ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন জান্নাত নামের এক গৃহবধূ। বুধবার (১৪ জুলাই) ভোরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার মরদেহ নিতে আসেননি স্বজনরা।
জান্নাত সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের বুধল গ্রামের আলী হোসেনের স্ত্রী ও তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের তেলীনগর গ্রামের করম আলীর মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আটমাস আগে সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের বুধল গ্রামের হীরা মিয়ার ছেলে আলী হোসেনের সঙ্গে জান্নাতের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসার সুখে চলছি। গত তিনদিন আগে জান্নাতের স্বামী আলী হোসেনের পেটে ব্যথা শুরু হয়। এই ব্যথা দুদিনেও ভালো হচ্ছিল না।
এরইমধ্যে আলী হোসেনের পেট ব্যথা নিয়ে প্রতিবেশীরা বলাবলি করছিলেন, ‘বিয়ের পর স্বামীর পেট ব্যথা হলে মারা যায়’। এই কথা শুনার পর জান্নাত মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় তিনি সিদ্ধান্ত নেন স্বামী মারা যাওয়ার আগে নিজে মারা যাবেন। পরে ঘরে থাকা ইঁদুর মারা ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে জান্নাত। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি বিষপান করার কারণ বলে যান।
বুধবার ভোরে মারা যান জান্নাত। তার মরদেহ হাসপাতালে ফেলে চলে যান স্বজনরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হাসপাতালের মর্গে জান্নাতের মরদেহটি পড়ে থাকলেও তার কোনো স্বজনকে পাওয়া যায়নি।
হাসপাতালের রেজিস্ট্রার খাতায় দেয়া জান্নাতের স্বামী আলী হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে বলেন, ‘আমরা বাড়িতে এসেছি। আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে হাসপাতালে আসবো। আমার পেট ব্যাথার কারণে জান্নাত বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আমার পেট ব্যথা ভালো হয়ে গেছে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, ‘বিষপান করায় একটি মেয়ে মারা গেছে বলে জানতে পেরেছি। হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে।’