ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ||
ঈদ
হলো আনন্দের দিন। তবে বিশ্বব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে উদ্যাপিত
হতে চলা এবারের কোরবানির ঈদ বিশেষভাবে আলাদা। আনন্দের মাঝে দেখা দিয়েছে
নানা শঙ্কা, জনমনে রয়েছে নানা প্রশ্ন। কোরবানির পশু কেনা থেকে শুরু করে পশু
জবাই ও খাদ্য গ্রহণের প্রতিটি স্তরে স্বাস্থ্য সতর্কতা মেনে চলা যাবে কিনা
তা নিয়ে রয়েছে নানা বিভ্রান্তি। ধর্মীয় রীতি ও আনন্দ ভাগাভাগি করার
পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি বা স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সমান
গুরুত্বপূর্ণ। কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে, নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে থেকে
ঈদ উদ্যাপনের চেষ্টা করলে করোনাকালে অনাকাক্সিত কিছু ঘটার সম্ভাবনা কমবে।
ঈদ
উদ্যাপনের প্রতিটি েেত্র আমাদের ল্য রাখতে হবে, যাতে কমসংখ্যক মানুষ
একসঙ্গে জড়ো হয়। উদাহরণস্বরূপ পশু কোরবানি ও মাংস প্রস্তুতকরণের সময় যতটা
পারা যায় সীমিতসংখ্যক লোক কাজে লাগাতে হবে। এ সময় কাজে নিয়োজিত সবার মাস্ক
ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পশু কোরবানি, মাংস প্রস্তুতকরণের আগে ও পরে
প্রত্যেকের হাত সাবানপানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। এ সময় বাড়ির
শিশু, বৃদ্ধ এবং যারা অন্যান্য রোগে ভুগছেন তাদের এ প্রক্রিয়া থেকে দূরে
রাখা ভালো।
কোরবানির মাংস বিতরণরে বিষয়ে সতর্ক হতে হবে, কারণ এ েেত্র
মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি হুমকির মুখে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। সে েেত্র শহরে বা
গ্রামে একত্রে জড়ো না হয়ে পরিচিতদের বাড়িতেই কোরবানির মাংস পাঠিয়ে দেওয়া
যেতে পারে। যাদের বাড়িতে পাঠানো সম্ভব নয়, তাদের মাংস বিতরণের েেত্র চেষ্টা
করা উচিত একটু অপোকৃত বড় স্থানে, দূরত্ব বজায় রেখে বিতরণ। মসজিদ,
এতিমখানাসহ স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে এসব
েেত্র ধর্মীয় যেসব বিধি আছে তা যেমন মানতে হবে, তেমন স্বাস্থ্য সুরার
বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
আনন্দের অন্যতম অনুষঙ্গ খাবার। আর
কোরবানির ঈদের অন্যান্য খাবারের সঙ্গে মূল আয়োজন হলো বিভিন্ন রকমের মাংস
খাওয়া, যেমন গরু, খাসি, মহিষ, এমনকি উটের। ঈদ উৎসবে সবারই মনের প্রবল ইচ্ছা
বেশি করে মাংস খাওয়া। তবে এবারে জনগণের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে- কোরবানির
মাংস খাওয়ার মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর সম্ভাবনা আছে কিনা? উত্তর হচ্ছে,
কোরবানির মাংস কিংবা যে কোনো মাংস যদি ভালোভাবে সিদ্ধ করে রান্না করা হয়,
তবে করোনা কেন, তা থেকে কোনো রোগ-জীবাণু ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই। সুতরাং
ভালোভাবে রান্না করা কোরবানির মাংস গ্রহণ করলে কোনোরকম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে
পড়ার আশঙ্কা নেই। তবে রান্না করার আগে রাঁধুনিরা অবশ্যই তাদের হাত
সাবানপানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নেবেন। তা ছাড়া রান্নায় ব্যবহৃত বাসনপত্র
ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া ভালো।
করোনাভাইরাসের ভয়
ছাড়াও সব সময়ই কোরবানির ঈদে মানুষের খাওয়া-দাওয়া নিয়ে থাকে নানা প্রশ্ন।
বিশেষ যারা দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভোগেন তাদের মনেও এ খাবার নিয়ে থাকে অনেক
সংশয়। এ েেত্র বলা যায়, দু-এক দিন বেশি খেতে যদিও খুব বাধা নেই, তবু খাওয়া
উচিত রয়েসয়ে। সমস্যা হলো তাদের, যাদের পেটের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ,
ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ আছে কিংবা যাদের এসব রোগের প্রাথমিক লণ আছে। ঈদকে উপল
করে সবার বাসায় নানা ধরনের মুখরোচক খাবারের আয়োজন করা হয়। নিজের বাসায় তো
বটেই, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের বাসায় ঘুরে ঘুরে প্রায় সারা দিনই
টুকিটাকি এটাসেটা খাওয়া হয়। আমাদের একটু নজর দেওয়া দরকার আমরা কী খাচ্ছি,
কতটুকু খাচ্ছি, বিভিন্ন খাবারের প্রতিক্রিয়া কী তার ওপর। মূল সমস্যাটা
নিঃসন্দেহে খাবারের পরিমাণে। অনেকেই একসঙ্গে প্রচুর তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত
খাবার খেয়ে হজম করতে পারেন না। এ ছাড়া কোরবানির জন্য মাংসের পরিমাণটা একটু
বেশিই খাওয়া হয়। অধিক পরিমাণে মাংস খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপে, জ্বালাপোড়া করে,
ব্যথা করে, বারবার পায়খানা হয়। পর্যাপ্ত পানি পান না করার দরুন অনেকে
কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। যদিও সাধারণভাবে কোনো নির্দিষ্ট খাবার খেতে কোনো মানা
নেই, কিন্তু পরিমাণ বজায় রাখা খুবই জরুরি। এ েেত্র শুরু থেকেই পরিকল্পনা
থাকা দরকার। যেহেতু দুপুর গড়িয়ে বিকাল হলেই সবাই মাংস খাওয়ার জন্য বেশি
ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তাই সকাল আর দুপুরের খাওয়াটা খুব কম রাখাই ভালো। অন্য
বাসায়ও যথাসম্ভব কম খান। ঈদের দিন তৈলাক্ত খাবার, পোলাও, বিরিয়ানি ও
আমিষ-জাতীয় খাবার, যেমন মুরগি, খাসি বা গরুর মাংস, কাবাব, রেজালা ইত্যাদি
খাওয়া হয়। এ ছাড়া আছে চটপটি, দইবড়া কিংবা বোরহানির মতো টক খাবারও। এ-জাতীয়
খাদ্য সকাল আর দুপুরে পরিহার করাই উত্তম। কারণ বিকালে প্রচুর মাংস খাওয়ার
সম্ভাবনা থাকবেই।
ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে অল্প করে সেমাই বা পায়েস
খান। তার সঙ্গে কিশমিশ, বাদাম ইত্যাদি খান। ফলের জুস, ডাবের পানি ইত্যাদি
খেতে পারেন। খাওয়ার আধঘণ্টা পর দেড় থেকে দুই গ্লাস পানি খেয়ে নামাজ পড়তে
যান।
ঈদের দিনে অনেকেই শরবত, কোমল পানীয়, ড্রিংকস ও ফ্রুট জুস খাওয়া
পছন্দ করেন। তবে মনে রাখা উচিত, বাজারে দেশি-বিদেশি ফ্রুট জুস যা পাওয়া
যায়, তার বেশির ভাগই আসল ফলের রস নয়। কৃত্রিম রং ও সুগন্ধি দিয়ে জুস নামের
এসব পানীয় তৈরি হয়। চটকদার বিজ্ঞাপনের সুবাদে এগুলোই হয়ে যায় তাজা ফলের রস।
আবার দীর্ঘদিন এসব জুস পান করলে শিশুদের তো বটেই, বড়দের পাকস্থলীরও
মারাত্মক তি হতে পারে। সেই সঙ্গে লিভার ও কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
বাজারের ফ্রুট জুস পান করলে কোনো উপকার তো হবেই না, বরং স্বাস্থ্য নষ্ট
হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অতএব এসব না খেয়ে সব সময় মৌসুমি ফল খাবেন তাতে মজা ও
উপকার দুই-ই পাবেন। লেবুর শরবত, বাসায় বানানো ফলের রস, ডাবের পানি, বোরহানি
ইত্যাদি খাওয়া যায়।
যাদের বয়স কম এবং শারীরিক কোনো সমস্যা নেই, তারা
নিজের পছন্দমতো সবই খেতে পারেন এবং তাদের হজমেরও কোনো সমস্যা হয় না, শুধু
অতিরিক্ত না হলেই হলো, বিশেষ করে চর্বি-জাতীয় খাদ্য। বেশি মাংস খেলে
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যায়। যাদের অ্যানাল ফিসার ও পাইলস-জাতীয় রোগ
আছে, তাদের পায়ুপথে জ্বালাপোড়া, ব্যথা ইত্যাদি বাড়তে পারে, এমনকি পায়ুপথে
রক্তরণ পর্যন্ত হতে পারে। তাই প্রচুর পানি, শরবত, ফলের রস, ইসবগুলের ভুসি ও
অন্যান্য তরল খাবার বেশি খাবেন। পেটে গ্যাস হলে ডমপেরিডন, অ্যান্টাসিড,
রেনিটিডিন, ওমিপ্রাজল, প্যান্টোপ্রাজল-জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন। যাদের আইবিএস
আছে, তারা দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। দাওয়াতে গেলে পরিমিত,
অতিভোজন পরিহারের চেষ্টা করবেন। হয়তো অনেক খাওয়া টেবিলে সাজানোই থাকবে,
কিন্তু খেতে বসলেই যে সব খেতে হবে, তা নয়। রাতের খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পড়বেন
না। খাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা পর বিছানায় যাবেন। খাবারের ফাঁকে ফাঁকে পানি
খাবেন না, এতে হজম রসগুলো পাতলা হয়ে যায়। ফলে হজমে অসুবিধা হয়। তাই খাওয়ার
অন্তত ১ ঘণ্টা পর পানি পান করুন। খাবারের মাঝে বোরহানি খেতে পারেন।
যে
কোনো পশুর চর্বি খাওয়া এমনিতেই স্বাস্থ্যের জন্য তিকর। কোরবানির সময় এ
বিষয়টি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা উচিত। অনেক সময় দেখা যায়, আমরা রান্না
সুস্বাদু হবে এমন ভুল ধারণা পোষণ করে মাংসে বেশ কিছু চর্বি আলাদাভাবে যোগ
করি। এ ঠিক নয়। যতটুকু সম্ভব মাংসের চর্বি ছাড়িয়ে খাওয়া ভালো। মাংসের সঙ্গে
যথেষ্ট পরিমাণে সবজি খাবেন। টাটকা সবজি পাকস্থলীকে সাবলীল রাখে। পরিমিতি
বোধ যেখানে রসনা সংবরণ করতে পারে, সেখানে ভয়ের কিছু নেই। মাংসে তেল বা
ঘিয়ের পরিমাণ কমিয়ে দিলে, ভুনা মাংসের বদলে শুকনো কাবাব করে খেলে, কোমল
পানীয় ও মিষ্টি একেবারে কমিয়ে খেলে কোরবানির ঈদের সময়ও ভালোই থাকা যায়। সেই
সঙ্গে হালকা ব্যায়াম বা বেশ কিছুণ হাঁটাহাঁটি করে শরীর থেকে অতিরিক্ত
ক্যালোরি কমিয়ে নিতে পারলে আরও ভালো।
মধ্যবয়সী ও বয়সীদের খাবার সম্পর্কে
সচেতন থাকা আরও জরুরি। এমনকি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তে অতিরিক্ত
চর্বি ইত্যাদি না থাকা সত্ত্বেও এই বয়সের মানুষের ঈদের খাবারের ব্যাপারে
বাড়তি সতর্ক থাকা দরকার। অতিভোজনে তাদের পেট ভরা ভাব বা অস্বস্তিকর অনুভূতি
হতে পারে। বেশি মাংস খেলে তা পরিপূর্ণভাবে হজম করতে অনেক সময় লাগতে পারে।
এতে পেটে অস্বস্তিকর অনুভূতি, ভরা ভরা ভাব, বারবার ঢেঁকুর ওঠা এমনকি বুকে
ব্যথা পর্যন্ত হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীকে অবশ্যই মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে
চলতে হবে। তারা বরং টক খাবারের মাধ্যমে রসনা পূরণ করতে পারেন। নেহাতই
মিষ্টি খেতে চাইলে চিনির বিকল্প দিয়ে তৈরি করে নেবেন। পোলাও, বিরিয়ানি কম
খাবেন, ভাত খাওয়াই ভালো। গরু বা খাসির মাংস খাওয়া যাবে, পরিমাণটা অতিরিক্ত
যাতে না হয় এবং তেল বা চর্বি যেন কম থাকে।
হৃদরোগে আক্রান্ত বিশেষ করে
প্রবীণরা অবশ্যই তৈলাক্ত মাংস কমিয়ে খাবেন। সারা বছর তারা যে ধরনের
নিয়ম-কানুন পালন করেন খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে, কোরবানির সময়ও সেভাবে চলাই
ভালো। কোরবানির মাংস একটু-আধটু খেলে শরীরের যে খুব তি হয়ে যাবে তা নয়, তবে
সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যাদের ওজন বেশি তাদের অবশ্যই ঈদের সময় খাওয়ার
ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।
যারা কিডনির সমস্যায় ভোগেন, তাদের
প্রোটিন-জাতীয় খাদ্য কম খেতে বলা হয়। তাই মাংস খাওয়ার ব্যাপারে আরও সতর্কতা
অবলম্বন করতে হবে। কোনোক্রমেই অতিরিক্ত মাংস খাওয়া ঠিক হবে না। ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী সারা বছরের মতো ঈদের সময়ও একই খাবার খাওয়াই ভালো।
কোরবানির
মাংস বিলিয়ে দেওয়ার পরও দেখা যায়, ঘরে অনেক মাংস জমা থাকে। এগুলো ভালোভাবে
সংরণ করা জরুরি। ফ্রিজে সংরণ সম্ভব হলে ভালো। তবে গ্রাম-গঞ্জ এমনকি শহরে
অনেকের বাসায় ফ্রিজ না থাকলে সঠিকভাবে মাংস জ্বাল দিয়ে রাখতে হবে। এমনকি
মাংস সেদ্ধ করে শুকিয়ে শুঁটকির মতো করে অনেক দিন খাওয়া যেতে পারে। খাওয়ার
আগে খেয়াল রাখতে হবে যেন মাংসের গুণগত মান ঠিক থাকে।
সবাইকে মনে রাখতে
হবে, এবারের ঈদ অন্য সাধারণ ঈদের মতো নয়। উদ্যাপনের পাশাপাশি স্বাস্থ্য
সুরার ব্যাপারটি আমাদের সবাইকে নিশ্চিত করতে হবে। এ েেত্র কোনো ছাড় দেওয়ার
সুযোগ নেই। খাবারের ব্যাপারটায় আমাদের বিশেষ মনোযোগী হতে হবে। মনে রাখতে
হবে, ঈদের উৎসব-আনন্দ আগেও ছিল, চলছে এবং ভবিষ্যতেও চলতেই থাকবে।
খাওয়া-দাওয়ারও উৎসব-আনন্দ অতিভোজন একইভাবে চলবে। অন্তত একটা দিন হলেও সবার
এমন ইচ্ছা থাকে। না খেলেও অনেক সময় আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব জোর করেই
খাওয়াবে। তার পরও সবাইকে রয়েসয়ে খেতে হবে, কারণ অসংযমীভাবে খাদ্য গ্রহণ করে
শুধু শুধু এই করোনাকালে ডাক্তারের কাছে কিংবা হসপিটালে ছোটার আদৌ প্রয়োজন
আছে কিনা ভেবে দেখতে হবে। সে েেত্র ভোগান্তি বাড়বে বই কমবে না।
পরিশেষে
আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে, এবারের ঈদে হয়তো সবার মুখে সমান হাসি বইয়ে
আনবে না। কারণ একদিকে করোনার হানা; অন্যদিকে বন্যা, নদী ভাঙনসহ নানা
প্রাকৃতিক দুর্যোগ। কয়েক মাস যাবৎ অনেক মানুষের রুটি-রুজির নিশ্চয়তা নেই।
অনেকেই আছেন যারা কবে শেষ তৃপ্তি করে দুই মুঠো ভাত খেতে পেরেছেন, বলতে
পারেন না। এবারের কোরবানির ঈদটা না হয় তাদের কথা চিন্তা করেই হোক। মাসের পর
মাস কোরবানির মাংস ফ্রিজে জমিয়ে না রেখে, বিতরণ করুন সেসব হতদরিদ্রদের
মাঝে। এতে তাদের যেমন পেট ভরবে, কিছু পুষ্টির চাহিদা মিটবে; তেমনি হবে
মানবতার কল্যাণ। আর এ আত্মত্যাগই তো কোরবানির আসল মাহাত্ম্য!
লেখক : প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক।