চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদ মঙ্গলবার
Published : Tuesday, 20 July, 2021 at 12:00 AM
দরবারের প্রতিষ্ঠাতা পীর মাওলানা ইসহাক প্রথম চন্দ্র দর্শনের ভিত্তিতে ধর্মীয় উৎসব পালনের রেওয়াজ চালু করেনদরবারের প্রতিষ্ঠাতা পীর মাওলানা ইসহাক প্রথম চন্দ্র দর্শনের ভিত্তিতে ধর্মীয় উৎসব পালনের রেওয়াজ চালু করেন
চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে মঙ্গলবার (২০ জুলাই) উদযাপিত হবে ঈদুল আজহা। সৌদি আরবে সোমবার (১৯ জুলাই) হজ সম্পন্ন হওয়ায় হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা ঈদ উদযাপন করবেন মঙ্গলবার।
এই দরবারের বর্তমান পীর শাইখ মো. আরিফ চৌধুরী বলেন, দরবারের প্রতিষ্ঠাতা পীর মাওলানা ইসহাক প্রথম চন্দ্র দর্শনের ভিত্তিতে ধর্মীয় উৎসব পালনের রেওয়াজ চালু করেন। এজন্য প্রতিবছর সৌদির সঙ্গে মিল রেখে আমরা ঈদ ও রোজা পালন করি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাশারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির কয়েক গ্রামের মুসল্লিরা ঈদ উদযাপন করবেন।
জানা গেছে, ১৯২৮ সালে হাজীগঞ্জ রামচন্দ্রপুর মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ঈদ উদযাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু স্থানীয়দের অসহযোগিতার মুখে তা ভেস্তে যায়। সরকারি নিয়মের বাইরে গিয়ে একদিন আগে ঈদ পালনের উদ্যোগ নেওয়ায় অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ওই বছরই নিজ গ্রাম সাদ্রায় ফিরে আসেন তিনি।
ধনী ও প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান মাওলানা ইসহাক ওই বছর নিজ গ্রামে একই উদ্যোগ নিয়ে গণসংযোগ শুরু করেন। গ্রামের অসহায় ও দুস্থদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদসহ সব ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপনের প্রথা চালু করেন। পরে তিনি দরবার শরিফ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
সাদ্রা দরবার শরিফের বর্তমান পীর শাইখ মো. আরিফ চৌধুরী বলেন, সৌদিতে সোমবার হজ হয়ে গেছে। তাই মঙ্গলবার আমরা ঈদ করবো। সকাল সাড়ে ৮টায় সাদ্রা ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এরপর আমরা কোরবানি করবো। আমাদের এখানে সব মসজিদে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণরোধে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সবাইকে মসজিদে মাস্ক পরে আসতে বলা হয়েছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জামাত অনুষ্ঠিত হবে।