দেবীদ্বারে উপকার ভোগীদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী উপহার
Published : Tuesday, 20 July, 2021 at 12:00 AM
এবিএম আতিকুর রহমান বাশার ঃ
বৈশি^ক মহামারি করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। দল-মত-পথ এবং সাম্প্রদায়িক মনোবৃত্তির উর্ধ্বে থেকে সকলপ্রকার মানবিক সহযোগিতা নিয়ে করোনায় আক্রান্ত ও বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাড়াতে হবে।
সোমবার দুপুরে দেবীদ্বার ৩৬নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মানবিক সংগঠন ‘মহানুভবতার দেয়াল’র উদ্যোগে ২৫টি বিপদগ্রস্ত উপারভোগী পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী উপহার বিতরণ ও ‘করোনাকালে আমাদের করনীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা ওই বক্তব্য তুলে ধরেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাহেলা মজুমদারের সভাপতিত্বে এবং সহকারী শিক্ষক মোক্তল হোসেনের সঞ্চালনায় ‘করোনাকালে আমাদের করনীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আঃ রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন দেবীদ্বার মফিজ উদ্দিন মডেল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোভার মোঃ মজিবুর রহমান, সাংবাদিক এবিএম আতিকুর রহমান বাশার।
অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন আব্দুল্লাহপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মফিজুল ইসলাম, ভৈষেরকোট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাছলিমা আক্তার, নোয়াবগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিনা আক্তার, ধামতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান (এএলটি), কুরুইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ খোরশেদ আলম, ভূষণা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ নাজমুল হাসান, গুনাইঘর দক্ষিণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মহসীন সরকার, গোপালনগর পূর্ব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহবুবা আক্তার, ছেপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহবুবা জাহান, দেবীদ্বার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শরিফা আক্তার, ধলাহাস সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুন নূর মোল্লা, হাদীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আঃ রহমান বলেন, গত বছরের শুরুতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘মহানুভবতার দেয়াল’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। যেখানে বিদ্যালয়ের ধনাঢ্য অভিভাবক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক রয়েছেন,- তাদের সন্তান ও পরিবারের চাহিদা পুরনের পর অতিরিক্ত বস্ত্র, তৈজস ও খাদ্য সামগ্রী পড়ে থাকে, সেগুলো বিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট কক্ষের দেয়ালের হেঙ্গার ও সোকেসে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। অসচ্ছল ও দরিদ্র পরিবারের যার যেটা প্রয়োজন বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সেখান থেকে নিয়ে যেতে পারবেন। দেবীদ্বারের ১৮৫টি বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম চালু থাকলেও করোনার কারনে তা সচল করা সম্ভব হয়নি। আজ দেবীদ্বার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামর্থবান শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও শিক্ষকদের আর্থিক সহযোগিতায় হতদরিদ্র ২৫ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মাঝে ওই খাদ্য সামগ্রীর উপহার তুলে দেয়া হয়।