Published : Tuesday, 20 July, 2021 at 12:00 AM, Update: 20.07.2021 1:05:20 AM
রণবীর ঘোষ কিংকর।
আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলিম সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে ঈদুল আজাহা একটি অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজাহার সকালে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা ঈদের নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের প্রত্যাশায় পশু কোরবানীর মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় কুমিল্লায়ও পবিত্র ঈদুল আজাহা উদ্যাপন করবেন।
জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে কুমিল্লা মহানগরীসহ ১৭টি উপজেলায় এ বছর ২ লক্ষ ৩৭ হাজার পশু কোরবানী হওয়ার কথা রয়েছে। তবে করোনা মহামারীর মধ্যদিয়ে তা কতটুকু অর্জন হয় তা-ই এখন দেখার বিষয়। তবে সবেচেয়ে বেশি ১৯ হাজার পশু কোরবানী হওয়ার কথা রয়েছে জেলার মুরাদনগর উপজেলায়।
সূত্র আরও জানায়- গত বছর এ জেলায় ২ লাখ ৩৬ হাজার ৭শ টি পশু কোরবানী হয়েছিল। সেই লক্ষ্যে এ বছর কোরবানীর জন্য জেলায় ২ লাখ ৩৮ হাজার ৩৪৫টি পশু পালন করেছে ক্ষুদ্র, প্রান্তিক সহ বড় ও মাঝারী খামারীরা। সংশ্লিষ্ট দপ্তর এ জেলায় ২ লাখ ৩৭ হাজার পশু কোরবানী হওয়ার সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করেছেন। তবে করোনা মহামারি ও দফায় দফায় লকডাউনে অনেক মানুষের হাতে অর্থ সংকট থাকায় সেই তালিকা অনেকটা ঘাটতি দেখা দেওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মুসল্লিদের সাথে আলোচনা করে জানা যায়- এ বছর একক পশু কোরবানী অনেকটা কমে যাবে। শরীক মিলে কোরবানীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সেক্ষেত্রে কোরবানীর পশুর সংখ্যাও কমে যাবে।
এদিকে, জেলায় কোরবানী পশুর লক্ষ্যমাত্র অনুযায়ী জেলায় ১ হাজারেরও বেশি পশু অবিক্রিত থাকার কথা রয়েছে। আবার জেলায় যে পরিমান পশু কোরবানী হয় তার প্রায় ৫শতাংশ পশু বিভিন্ন জেলা থেকে আসে। যার প্রভাবে জেলা ভিত্তিক পশু অনেক অবিক্রিত থাকে।
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার গরু খামারী চান্দিনা পৌর কাউন্সিলর আব্দুর রব জানান- বাজারে মিয়ানমার ও উত্তর বঙ্গের গরু অনেক। একদিকে করোনায় কোরবানীর সংখ্যা কমে গেছে, অপরদিকে বহিরাগত গরু বাজারে এসেছে। যে কারণে বাজারে গরুর দাম তুলনা মুলক কম। প্রতিটি বাজারেই অনেক গরু এখনও অবিক্রিত রয়েছে। এমনকি অনেক খামারীর গরুও অবিক্রিত আছে।
সেই হিসেবে এ বছর কুমিল্লা জেলায় অন্তত ৫ হাজারেরও বেশি পশু অবিক্রিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নজরুল ইসলাম জানান- মূলত গত বছর যে পরিমান পশু কোরবানী হয়েছিল সেই হিসেবে তা চলতি বছরের সম্ভাবনা নির্ণয় করা হয়। উপজেলা পর্যায়ের তথ্যগুলো সমন্বয় করে আমরা কোরবানী পশুর সংখ্যা লক্ষ্যমাত্র নির্ণয় করেছি। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর পশু কোরবানীর সংখ্যা কমে যেতে পারে। মঙ্গলবারের বাজার শেষে আমরা অবিক্রিত পশুর সংখ্যা নির্ণয় করতে পারবো।