কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তৃণমূল এমপি নুসরাত জাহান বলেছেন, স্বামী অত্যাচার করলে চুপ করে সহ্য করা যায় না। দাম্পত্য বিষাক্ত হতে শুরু করলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।
তার মতে, কেবলমাত্র সমাজের চোখরাঙানির ভয়ে প্রতিবাদ না করলে নিজে ভালো থাকা যাবে না।
সম্প্রতি মাতৃত্ব ও নারীদের ক্ষমতায়ন নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন নুসরাত। খবর আনন্দবাজার।
অভিনেত্রী বলেন, আমার লড়াই আমাকেই লড়তে হবে। কেউ কারও হয়ে গলা তুলবে না। এখন যদি লোককে দেখানোর জন্য ছলনার আশ্রয় নিয়ে মিথ্যে জীবন যাপন করি, স্বামী অত্যাচার করলেও সমাজের ভয়ে চুপ থাকি, লোকের সামনে স্বামীর ভাবমূর্তি রক্ষা করার জন্য আওয়াজ না তুলি, তবে নিজের জীবনটা কোথাও যেন হারিয়ে যাবে। নিজেদের ক্ষতগুলোকে লুকিয়ে রাখতে রাখতে মহিলারা নিজস্বতা হারিয়ে ফেলবে।
নারীদের পরমার্শ দিয়ে নুসরাত বলেন, জীবন একটাই, তাই মনের আনন্দে বাঁচুন সবাই।
যেসব নারী বিপদে রয়েছেন বা যাদের সাহায্যের প্রয়োজন, তাদের প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তৃণমূল এমপি বলেন, আমরা সকলেই তাদের পাশে রয়েছি। শুধু একটু মুখ ফুটে বলতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিয়ে ও মাতৃত্ব নিয়েও নুসরাত নিজের মতামত প্রকাশ করেন।
অন্তঃসত্ত্বা নুসরাত বললেন, মাতৃত্ব আশির্বাদ, সেটা অস্বীকার করার জায়গা নেই। কিন্তু নিজের শরীর ও মন প্রস্তুত না হলে মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।
অভিভাবকদেরকে নুসরাতের পরামর্শ, কন্যাসন্তান হলে তাকে বোঝানো উচিত, সমাজের ভয়ে মাথা নত করা ঠিক নয়। সেই প্রসঙ্গে নায়িকা বলেন, আমার মেয়ে হলে তাকে আমি শেখাব, সে যেন কখনও মাথা নত না করে।
প্রসঙ্গত, অনেকদিন আগেই সামনে এসেছে নুসরাত-নিখিলের বিচ্ছেদের খবর। নুসরাত অবশ্য তাদের বিয়ের কথা অস্বীকার করে নিখিলকে ‘সহবাস সঙ্গী’ হিসাবে দাবি করেছেন।
তবে নিখিল জানিয়েছেন, তিনি নুসরাতের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মতোই থাকতেন। তবে নুসরাতের সন্তানের বাবা তিনি নন।
এদিকে নুসরাত জাহান ও অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের প্রেম কাহিনি এখন টালিপাড়ার ওপেন সিক্রেট। নুসরাতের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর এই কাহিনিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যদিও অনাগত সন্তানের পিতৃত্ব নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি নুসরাত বা যশ।